সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্ক|Relation between Government and Central Bank
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা একটা অথরিটি বা কর্তৃত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। এই অথরিটি সরকার নির্দিষ্ট আইন ও বিধির আওতায় সরকার নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। এই ব্যাংক সরকারের নির্দেশে টাকা ছাপে ও প্রচলন করে। সরকারের পক্ষে টাকা জমা রাখে, খরচ করে ও হিসাব সংরক্ষণ করে। সরকারের প্রয়োজনে অর্থের যোগান দেয়। শুধু কী তাই। এ ব্যাংক সরকারের আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করে ও এরূপ নীতি গ্রহণে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে।
তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তন্ময় মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনে বিষয়টা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়েছে। এরূপ সম্পর্কের প্রকৃতি তুলে ধরার জন্য কতিপয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. সরকারি মালিকানা (Govt. ownership): মালিকানার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বর্তমানকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোথাও সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীনে এবং কোথাও যৌথ মালিকানায় গঠিত ও পরিচালিত হয় । যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে সরকারি অংশই থাকে বেশি । তাই স্বাভাবিক নিয়মেই সরকারের সাথে এর প্রত্যক্ষ মালিকানার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২. সরকারি নিয়ন্ত্রণ (Government control): পৃথিবীর প্রত্যেক দেশেই সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিয়ন্ত্রণ করে। এরূপ গঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার বিশেষ আইন পাস করে। যে আইনে এর ওপর কর্তৃত্ব করার দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকে। যৌথ মালিকানায় এরূপ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলেও আইনের মাধ্যমেই সরকার এর ওপর সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বিধান যুক্ত করে।
৩. সরকারের ব্যাংকার ( Bank of the govt.): কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজ করে। সরকারের ব্যাংকার হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের অর্থ জমা রাখে, সরকারের পক্ষে অর্থ লেনদেন করে, হিসাব রাখে, সরকারের প্রতিনিধি ও উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা রাখে। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
৪. সরকারের হিসাবরক্ষক (Accountant of govt.): কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের আর্থিক লেনদেন ও টাকা পয়সার হিসাব সংরক্ষণ করে এবং হিসাব সংরক্ষণের জন্য সরকারের নিকট সম্পূর্ণ দায়ী থাকে। ফলে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা ব্যবস্থাপকের সাথে হিসাবরক্ষকের যে সম্পর্ক থাকে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সেই সম্পর্কও বিদ্যমান থাকে।
৫. সরকারের প্রতিনিধি (Agent of govt. ): সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে প্রধান এবং প্রতিনিধির সম্পর্কও বিদ্যমান। সরকারের আর্থিক প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পক্ষের সাথে চুক্তি সম্পাদন দেনা পাওনার নিষ্পত্তি এবং অন্যান্য প্রতিনিধিত্বমূলক কার্যাবলি সম্পাদন করে।
৬. সরকারের উপদেষ্টা (Adviser to govt.): কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে কিংবা দেশের অর্থনীতি ও শিল্প-বাণিজ্য সম্পর্কিত নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যাপারে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ গ্রহণ করে। এভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে পরামর্শদাতা ও পরামর্শগ্রহীতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭. সরকারের তথ্য সরবরাহকারী (Information supplier of govt.): তথ্য সরবরাহকারী হিসেবেও সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে প্রয়োজন হলে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট তথ্য চেয়ে পাঠায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন তথ্য সংগ্রহ করে বা তার নিকট রক্ষিত আর্থিক তথ্যাবলি সরকারের কাছে প্রেরণ করে।
৮. ঋণদাতা (Loan payer): উৎপত্তিকাল হতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণদানের প্রধান উৎস হিসেবে গণ্য হয়। সরকার আর্থিক সংকটে নিপতিত হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের সাহায্যে এগিয়ে আসে। এটি সরকারকে শুধুমাত্র ঋণই দেয় না, সরকারি বন্ড, সিকিউরিটি ইত্যাদি বিক্রয় করে ঋণ সংগ্রহেও সহায়তা করে। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
৯. সরকারের পক্ষে নোট ও মুদ্রার প্রচলনকারী (Issuer of notes & coins on behalf of Govt.): মূলত নোট ইস্যুর প্রয়োজনেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উৎপত্তি। বর্তমানে সকল দেশেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট প্রচলনের একক অধিকারী প্রতিষ্ঠান। তাই দেশের জন্য প্রয়োজনীয় নোট ইস্যুর একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের সাথে এরূপ ব্যাংকের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান।
১০. বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষক ও পরিচালক (Reserver and administrator of foreign currency): যেকোনো দেশেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষণ, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের একক অধিকারী প্রতিষ্ঠান। এরূপ ব্যাংক শুধু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভই সংরক্ষণ করে না। রিজার্ভ অনুকূলে রাখার জন্যও বিভিন্ন কর্মব্যবস্থা সংশ করে। দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব এ ব্যাংকের। তাই সরকারের পক্ষে এ গুরুদায়িত্ব পালনেও উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।
১১. সরকারি প্রকল্পে সহায়তা (Assistance in govt. project): কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরামর্শ দিয়ে, অর্থ দিয়ে, তথ্য সরবরাহ করে এবং আরো বিভিন্ন উপায়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ ও বাস্তবায়নে সাহায্য করে। ফলে সরকার এসব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বহুলাংশে নির্ভর করতে পারে। বস্তুতপক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের প্রধান প্রকল্প সহায়ক।
১২. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা (Maintenance of economic stability): যেকোনো দেশেই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জাতীয় উন্নয়ন নির্ভর করে। আর এরূপ স্থিতিশীলতা বিধানের মূল দায়িত্ব হলো সরকারের। আর এক্ষেত্রে সরকারের মুখ্য সহযোগী হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যাংক মুদ্রামান সংরক্ষণ, ঋণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কার্যপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সরকারকে সহায়তা দেয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্ক|Relation between Central Bank and Commercial Banks
“কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার” এই উক্তিটি ব্যাখ্যা করলে আমরা দেখতে পাই দেশের সকল তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্ক বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের তালিকাভুক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ, ঋণদান, পরিচালনা পর্ষদ গঠন এবং পরিবর্তনের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপর নির্ভর করে।
তাই বলা যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। নিচে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্ক আলোচনা করা হলো।
১. ব্যাংকসমূহের তালিকাভুক্তিকরণ (Scheduling banks): বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বপ্রথমে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে তালিকাভুক্ত করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কতিপয় শর্ত পালন সাপেক্ষে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে তালিকাভুক্ত করে। তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীনে আসে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য সুবিধাও বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ভোগ করতে পারে।
২. ব্যাংককে লাইসেন্স প্রদান (Giving license for banking): কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে ব্যাংকিং কার্যক পরিচালনার অনুমতিস্বরূপ লাইসেন্স প্রদান করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক স্থাপন, শাখা খোলা এবং শাখা স্থানান্তরের জন্যও লাইসেন প্রদান করে। বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যাবলিতে লিপ্ত হতেও ব্যাংকসমূহকে লাইসেন্স সপ্তাহ করতে হয়।
৩. ব্যাংকসমূহের পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন (Policy determination & Implementation for banks): বেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ করে ও তা পালনে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে বাধা করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকসমূহের মূলধনের পরিমাণ, তারলা, ঋণের জামানত ও ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিত্ব (Adviser and agent of banks): কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে এবং দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পক্ষের সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
৫. ব্যাংকসমূহের সাথে হিসাব সংরক্ষণ (Maintaining account with commercial banks): কেন্দ্রীয় ব্যাকে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের সাথে হিসাব খোলে, যার মাধ্যমে ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে প্রয়োজনীয় লেনদেন সম্পাদন করে।
৬. তহবিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ (Maintaining funds of banks): বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সংগৃহীত আমানতের একটি অংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। যাকে বাধ্যতামূলক নগদ সঞ্চিতি (CRR) বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে তহবিলের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করে।
৭. নিরীক্ষণ ও তদারকি (Audit & inspection): কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের যেকোনো কার্যক্রম নিরীক্ষণ ও তদারকির অধিকারপ্রাপ্ত। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছর শেষে ব্যাংকসমূহের হিসাব প্রতিবেদন ও অন্যান্য কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিরীক্ষণ করে।
৮. ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ (Control on management): কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর (CEO) নিয়োগ ও অপসারণ, পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন এবং পরিচালনা সংক্রান্ত নীতি দ্ধতি নির্ধারণ সংক্রান্ত কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
৯. দান (Lending): কেন্দ্রীয় ব্যাকে সংকট মুহূর্তে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে ঋণদান করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাংকার হিসাবে এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাণিজ্যিক ব্যাংক সাময়িকভাবে অর্থ বা তারল্য সংকটে পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই অবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণদান করে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে “ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল” বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথম শ্রেণির বিনিময় কিল (সরকারি আর্থিক সম্পদ) পুনঃবাটাকরণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাকে বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণদান করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুরূপ ভূমিকার কারণে ব্যাংকসমূহ কম পরিমাণ নগন অর্থ সংরক্ষণ করেও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। অন্যথায় বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে অতিরিক্ত রকম নগদ অর্থ সংরক্ষণ করতে হতো। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণদান সামর্থ্যা হ্রাস পেত।
১০. নিকাশে সহায়তা (As clearing house): কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের নগদ অর্থের (বাধ্যতামূলক নান সঞ্চিতি) ধারক। যে কারণে মধ্যে ব্যাংকসমূহের যেসব আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার উদ্ভব ঘটে তা নিষ্পত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভূমিকা পালন করে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সর্বপ্রথম এ পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু করে। বর্তমানে সারাবিশ্বে আন্তঃব্যাংকিং দেনা পাওনা মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ভরসা করে।
পরিশেষে বলা যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংক গঠন, তালিকাভুক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণ সবই কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে থাকে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাংকার বা অভিভাবক বলা হয়।