হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল
সাধারণত হস্তান্তর বলতে মালিকানা পরিবর্তনকে বোঝায়। এটি হচ্ছে একটি লিখিত প্রত্যয়ন পত্র। কোনো একজনের সম্পত্তি অন্য যে কেউ মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় ও মালিকানা স্বত্ব লাভ করলে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে। এটি শুধুমাত্র হাত বদল বা অনুমোদনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা যায়। যে ব্যক্তি দলিলের মালিকানা হস্তান্তর করে, তাকে হস্তান্তরকারী এবং যার নিকটে হস্তান্তর করা হয় তাকে হস্তান্তর গ্রহীতা বলা হয়। Negotiable Instrument Act 1881 - এ বলা হয়েছে,
হস্তান্তরযোগ্য দলিল হচ্ছে প্রতিজ্ঞাপত্র বিনিময় বিল বা চেক যা কোনো ব্যক্তির আদেশে বা বাহককে পরিশোধ্য।
Prof. Thomas- এর মতে,
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের আইন বা স্বীকৃত রীতি অনুযায়ী অর্পণ অথবা অনুমোদন এবং অর্পণ দ্বারা এমনভাবে হস্তান্তরযোগ্য যাতে (ক) যেকোনো সময়ে এর অধিকারী নিজ নামে এর বিষয়ে মামলা করতে পারে এবং (খ) হস্তান্তরকারীর মালিকানায় ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও মূল্যের প্রতিদানে এবং সরল বিশ্বাসে গ্রহণ করলে ত্রুটিমুক্ত অধিকার পায়।
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে:
i. হস্তান্তরযোগ্য দলিল এক ধরনের আর্থিক দাবির হাতিয়ার বা প্রমাণপত্র।
ii. এ ধরনের দলিলের মালিকানা অর্পণ অথবা অনুমোদন ও অর্পণের মাধ্যমে হস্তান্তর করা যায়।
iii. হস্তান্তরের ফলে হস্তান্তরগ্রহীতা উক্ত আর্থিক সম্পদের মালিকানাপ্রাপ্ত হয়।
iv. হস্তান্তরযোগ্য দলিলের মালিক দলিলের অর্থপ্রাপ্তির বিষয়ে নিজ নামে মামলা করতে পারে।
v. হস্তান্তরকারীর মালিকানায় কোনো প্রকার ত্রুটি থাকলেও হস্তান্তরগ্রহীতা তার দাবি আদায়ে আইনানুগ অধিকার পায়।
পরিশেষে বলা যায়, হস্তান্তরযোগ্য দলিল হচ্ছে একটি লিখিত দলিল যা আইন স্বীকৃত ব্যবসায় নীতি অনুযায়ী হস্তাভরযোগ্য। প্রস্তুতকারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত যে লিখিত দলিল দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিতে হস্তান্তরিত হয় তা হলো হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল। যেমন- চেক, বিনিময় বিল, প্রতিশ্রুতিপত্র ইত্যাদি।
হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিলের বৈশিষ্ট্যসমূহ |Features of Negotiable Credit Instruments
হস্তান্তরযোগ্য দলিল বর্তমানকাল সব দেশেই নগদ অর্থের বিকল্প হিসেবে বা এর সহায়ক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের চেক ও বিনিময় বিলের বহুল ব্যবহার হতেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এর যে সকল বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নরূপ:
১. লিখিত দলিল (Written documents): যে কোন দলিলই লিখিত হয়ে থাকে। হস্তান্তরযোগ্য দলিলও যেহেতু একটি দলিল তাই এটা যথানিয়মে লেখা হয়। সাধারণত অঙ্গীকারপত্র দেনাদার কর্তৃক এবং বিনিময় বিল পাওনাদার কর্তৃক যে কোন সাদা কাগজে লেখা হয়ে থাকে। চেক আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট ছাপানো পাতায় লেখা হয়। এরূপ লেখা বলতে শুধুমাত্র হাতে লেখাই বুঝায় না, টাইপ করে, ছাপিয়ে বা খোদাই (Engraving) করেও তা লেখা হতে পারে।
২. যথাযথ পক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত (Signed by the appropriate party): এরূপ দলিল অবশ্যই প্রস্তুতকারী বা তার পক্ষে আইনানুগ প্রতিনিধি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হয়। উল্লেখ্য, স্বাক্ষরের সাথে এতে তারিখেরও উল্লেখ থাকা আবশ্যক। এরূপ স্বাক্ষর ছাড়া দলিলের কোনই মূল্য থাকে না। আমি X- কে এক মাসের মধ্যে দশ হাজার টাকা প্রদান করব- এ মর্মে Y নিজ হাতে কাগজে লিখে দিয়েছে কিন্তু নিচে কোনো স্বাক্ষর দেয়নি। এটা হস্তাত্তরযোগ্য দলিলের কোনোই মর্যাদা পেতে পারে না।
৩. একাধিক পক্ষ (Pluralities of parties): হস্তান্তরযোগ্য দলিলে অবশ্যই একাধিক পক্ষ থাকে। সাধারণত দেনা পরিশোধের জন্য এরূপ দলিল লেখা হলে স্বাভাবিকভাবেই এর এক পক্ষে থাকে পাওনাদার ও অপর পক্ষে থাকে দেনাদার অঙ্গীকারপত্রে সাধারণত দু'টি পক্ষ থাকে; অঙ্গীকারদাতা ও অঙ্গীকারগ্রহীতা। বিনিময় বিলে ও চেকে সাধারণত তিনটি পক্ষ থাকে; আদেষ্টা, আদিষ্ট ও প্রাপক।
৪. শর্তহীন প্রকৃতি (Unconditional nature): হস্তান্তরযোগ্য দলিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটি শর্তহীন প্রকৃতির হয়ে থাকে। অঙ্গীকারপত্রে, অঙ্গীকারদাতা অর্থ প্রদানের শর্তহীন অঙ্গীকার প্রদান করে। বিনিময় বিলে আদেষ্টা, আদিষ্টকে অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ দেয়। চেকের ক্ষেত্রে আমানতকারী, ব্যাংককে চাহিবামাত্র অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ দিয়ে থাকে। অঙ্গীকারপত্রে যদি লেখা হয় মাল বিক্রয়সাপেক্ষে এক মাসের মধ্যে ১০,০০০ টাকা প্রদানে বাধ্য থাকিব তবে শর্তযুক্ত হওয়ায় তা হস্তান্তরযোগ্য দলিল বিবেচিত হবে না।
৫. হস্তান্তরযোগ্যতা (Transferability): হস্তান্তরযোগ্য দলিল সাধারণভাবে অর্পণের দ্বারা নগদ অর্থের মতোই অনেকটা হস্তান্তরযোগ্য হয়ে থাকে। বাহককে দেয় (Payable to bearer) দলিলের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অর্পণের দ্বারা তা হস্তান্তর করা যায় এবং হস্তান্তরগ্রহীতা এতে স্বত্ব লাভ করে। আদেশে দেয় (Payable by order) হস্তান্তরযোগ্য দলিলের ক্ষেত্রে পৃষ্ঠাংকনের মাধ্যমে তা হস্তান্তর করা যায়।
৬. নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের উল্লেখ (Mention of certain sum of money): হস্তান্তরযোগ্য দলিলে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের উল্লেখ থাকে। এরূপ অর্থের পরিমাণ যদি নির্দিষ্ট না হয়; যেমন- ১,০০০ বা ২,০০০ টাকা প্রদান করুন বা ৫০০ বা ১০০০ টাকা পরিশোধ করব এরূপ নির্দেশ বা অঙ্গীকার সম্বলিত দলিলকে হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে গণ্য করা যায় না। একইভাবে অর্থ ছাড়া অন্য কোনো স্বার্থ বা সম্পদ প্রদানের নির্দেশ বা অঙ্গীকার থাকলে তাও হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে গণ্য নয়।
৭. প্রাপকের নামোল্লেখ (Mention the name of payee): যে কোনো ধরনের হস্তান্তরযোগ্য দলিলেই প্রাপকের নামোল্লেখ থাকার প্রয়োজন পড়ে। অবশ্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে বিনিময় বিল বা চেকের আদেষ্টা নিজ বা Self শব্দের উল্লেখ করতে পারে। এতে আদেষ্টা নিজেই প্রাপক হিসেবে গণ্য হয়। অঙ্গীকারপত্রের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিদাতা কার নিকট অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে অবশ্যই তার নামোল্লেখ করতে হয়। অন্যথায় এরূপ দলিল কোনো আইনগত মর্যাদা লাভ করে না।
৮. বিহিত মূদ্রায় অর্থ পরিশোধ (Payment by legal currency): হস্তান্তরযোগ্য দলিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দেশের অভ্যন্তরে এর অর্থ অবশ্যই বিহিত মূদ্রায় পরিশোধ করতে হয়। বিহিত মূদ্রা বলতে সরকারি নোট (১, ২ ও ৫ টাকার নোট) ও ব্যাংক নোট (১০, ২০, ১০০০ টাকার নোট) কে বুঝায়। এর বাইরে কোনো অর্থ গ্রহণে এর প্রাপক বা ধারককে বাধ্য করা যায় না। অবশ্য বদেশিক বিনিময় বিল বা ট্রাভেলার্স চেকের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিহিত মুদ্রায় অর্থ পরিশোধযোগ্য হয়।
৯. চাহিবামাত্র বা নির্দিষ্ট সময় পরে দেয় (Payable on demand or after certain period): হস্তান্তরযোগ্য দলিল নির্দিষ্ট সময় পরে বা চাহিবামাত্র পরিশোধ্য হয়ে থাকে। বিনিময় বিল ও অঙ্গীকারপত্র সাধারণত নির্দিষ্ট সময় পরে প্রদেয় হয় এবং দলিলে তার সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকে। উভয় দলিল চাহিবামাত্র পরিশোধ্যও হতে পারে। চেক চাহিবামাত্র পরিশোধ্য একটি দলিল। সব কিছু ঠিক থাকলে এবং যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হলে ব্যাংক চাহিবামাত্র চেকের অর্থ পারিশোধে বাধ্য থাকে।
১০. উপস্থাপন (Presentation): যে কোনো ধরনের হস্তান্তরযোগ্য দলিলের ক্ষেত্রে এর অর্থ আদায়ের জন্য ধারককে এর উপস্থাপন করার প্রয়োজন পড়ে। মেয়াদি বিনিময় বিল এর আদিষ্ট বরাবর একবার স্বীকৃতির জন্য এবং মেয়াদাত্তে পরিশোধের জন্য উপস্থাপন করতে হয়। চেকের অর্থ সংগ্রহের জন্য এর প্রাপক বা ধারককে ব্যাংকের নিকট তা উপস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে। অঙ্গীকারপত্রের ক্ষেত্রেও মেয়াদান্তে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে তা প্রতিশ্রুতিদাতার নিকট উপস্থাপন করতে হয়।
১১. ঋণের প্রমাণ (Proof of burden): সকল প্রকার হস্তান্তরযোগ্য দলিলই ঋণের প্রমাণ হিসেবে আদালতে গৃহীত হয়। অর্থাৎ কোনো হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনানুগ উপস্থাপনের পরও তা অমর্যাদাকৃত হলে এর জন্য দায়ী পক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিকট দায়বদ্ধ হয়ে থাকে। অঙ্গীকারপত্রের প্রতিশ্রুতিদাতা, প্রতিশ্রুতিগ্রহীতা ও এর পরবর্তী পক্ষসমূহের নিকট, বিনিময় বিলের ক্ষেত্রে এর আদিষ্ট বা স্বীকৃতিকারী ও আদেষ্টা ও পরবর্তী সকল পক্ষের নিকট এবং চেকের ক্ষেত্রেও প্রস্তুতকারী ও হস্তান্তরকারী অন্যদের নিকট দায়ী হয়। এছাড়াও এরূপ দলিলের হস্তান্তরকারীরা, হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট দায়বদ্ধ হয়ে থাকে।
হস্তান্তরের আবশ্যকীয় শর্তাবলি |Conditions of Negotiability
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের হস্তান্তর বলতে দলিলের অধিকারী কর্তৃক যথানিয়মে এর মালিকানা অন্যের নিকট হস্তান্তর করাকে বুঝায়। এরূপ হস্তান্তর দু'ভাবে হতে পারে।
ক. অর্পণের দ্বারা হস্তান্তর ও
খ. অনুমোদন ও পৃষ্ঠাঙ্কনের দ্বারা হস্তান্তর।
অর্পণের দ্বারা হস্তান্তর বলতে প্রাপক বা অনুমোদন বলে প্রাপক কর্তৃক হস্তান্তরের অভিপ্রায় নিয়ে বাহককে দেয় অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল বা চেক অন্য কাউকে অর্পণ করাকে বুঝায়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র অর্পণই হস্তাত্তরগ্রহীতার পক্ষে মালিকানা লাভে যথেষ্ট গণ্য হয়। অন্যদিকে অনুমোদন ও পৃষ্ঠাঙ্কনের দ্বারা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে এর প্রাপক বা অনুমোদন বলে প্রাপককে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে দলিলের পিছনে বা সংযুক্ত কাগজে স্বাক্ষর করতে হয়।
আদেশে দেয় অঙ্গীকারপত্র বিনিময় বিল ও চেকের ক্ষেত্রে হস্তান্তরের বেলায় এরূপ অনুমোদন বা পৃষ্ঠাঙ্কন অপরিহার্য বিবেচিত হয়ে থাকে। দলিলে প্রাপকের নামের শেষে “অথবা বাহককে” লেখা থাকলে তাকে বাহককে দেয় এবং “অথবা আদেশানুসারে” শব্দদ্বয় লেখা থাকলে তাকে আদেশে দেয় হস্তান্তরযোগ্য দলিল বলে। এ ধরনের দলিল হস্তান্তরের আবশ্যকীয় শর্তাবলি নিয়ে উল্লেখ করা হলো:
১. হস্তান্তর বৈধ হতে হলে দলিলকে প্রথম হস্তান্তরযোগ্য দলিলের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হতে হবে। যেমন
ক. এটি যথানিয়মে লিখিত হতে হবে অর্থাৎ অঙ্গীকারপত্র ও বিনিময় বিল সাদা কাগজে লেখা গেলেও তা স্ট্যাম্পযুক্ত হতে হবে এবং চেক আবশ্যই ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত চেকের পাতায় লিখতে হবে।
খ. এরূপ দলিলে অবশ্যই এর লেখকের উপযুক্ত স্বাক্ষর থাকতে হবে। বিনিময় বিলের ক্ষেত্রে এতে দেনাদার বা আদিষ্টের স্বীকৃতিযুক্ত স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।
গ. এরূপ দলিল অবশ্যই শর্তহীন প্রকৃতির হবে। শর্তযুক্ত করে লেখা দলিল কখনই হস্তাত্তরযোগ্য দলিলের মর্যাদা পায় না।
ঘ. এরূপ দলিলে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের উল্লেখ থাকবে। অর্থ ছাড়া কোনো স্বার্থ বা সম্পদের উল্লেখ থাকলে তা হস্তান্তরযোগ্য দলিল বিবেচিত হয় না।
ঙ. এরূপ দলিলে অবশ্যই প্রস্তুত তারিখের উল্লেখ থাকবে ও সেই সাথে তা কখন পরিশোধ করতে হবে তারাও নির্দেশ থাকবে।
চ. আদেশে দেয় দলিলের ক্ষেত্রে এতে অবশ্যই প্রাপকের নামোল্লেখ করতে হবে। তবে দলিল লেখক নিজ (Self) শব্দ লিখে নিজেও প্রাপক গণ্য হতে পারেন।
২. হস্তান্তরের ক্ষেত্রে অর্পণ একটা অপরিহার্য শর্ত । প্রকৃত (Actual) বা কার্যত (Constructive) যেভাবেই ঘটুক অর্পণ না হলে হস্তান্তর কার্যকর হয় না। কেউ যথাযথভাবে পৃষ্ঠাঙ্কন করে তা নিজের কাছে রেখে দিলে হস্তাত্তর হয়নি বলে ধরা হয়।
৩. বাহককে দেয় অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেক শুধুমাত্র অর্পণের দ্বারা হস্তান্তর করা যায়।
৪. আদেশে দেয় অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেকের ধারক যথানিয়মে পৃষ্ঠাঙ্কন করে অর্পণের দ্বারা এরূপ দলিল হস্তান্তর করতে পারেন।
৬. এরূপ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মালিকানা হস্তান্তরের অভিপ্রায় থাকা অপরিহার্য । অর্থ সংগ্রহের জন্য ব্যাংক এরূপ দলিল জমা দিলে তা হস্তান্তর বিবেচিত হয় না।