এনজিও এর ধারণা| Concept of NGO
এনজিও কী? What is NGO?
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, স্মরণাতীতকাল থেকেই সমাজের অগ্রসর মানুষদের মধ্যে একটি অংশ পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য উল্লেখযোগ্য কল্যাণমূলক প্রয়াস গ্রহণ করে থাকে। প্রাক - শিল্প সমাজে এসে তা প্রকট আকার ধারণ করে। এই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য সহায়তা করার উদ্যোগ নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে কিছু দেশীয় ও সামাজিক সংগঠন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। ষাটের দশকে এরাই বেসরকারি সাহায্য সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন বা NGO নামে পরিচিতি লাভ করে।
এনজিও এর সংজ্ঞা|Definition of NGO
NGO এর পূর্ণরূপ হলো Non Governmental Organization. ১৯৪৫ সালে যখন ইউনাইটেড ন্যাশন (UN) সৃষ্টি হয় তখনই NGO এর যাত্রা শুরু হয়, যা ছিল আন্ত: সরকারের একটি সংগঠন।
জাতিসংঘ (UN) - এর মতে,
যেকোনো বেসরকারি সংগঠন যা সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত থাকে তাকে NGO বলে। সেখানে মুনাফাবিহীন, সন্ত্রাসবিহীন এবং অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
বেসরকারি সংস্থা বলতে বোঝানো হয় সেসব সংস্থাকে যেগুলো উন্নয়ন বা সেবামূলক কর্মকাণ্ডে কোনো না কোনোভাবে জড়িত। সহজ অর্থে বেসরকারি সংস্থা বলতে কোনো অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে বোঝায় যা উন্নয়ন সহযোগিতা অথবা শিক্ষা ও নীতিগত কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকে।
বেসরকারি সংস্থাকে একটি সংগঠন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে—
Established and governed by a group of private citizens for a stated philanthropic purpose and supported by voluntary individual contribution.
আবার বিশ্বব্যাংক কর্তৃক বেসরকারি সংস্থাকে সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে—
NGO's as institutions outside the public and private sectors whose goals are primarily value - driven (humanitarian or co - operative) rather than profit driven.
সাধারণ অর্থে এনজিও বলতে বোঝানো হয় সেইসব সংস্থাকে যেগুলো উন্নয়ন বা সেবামূলক কর্মকাণ্ডে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকে।
এনজিও এর বৈশিষ্ট্য Characteristics of NGO
এ ধরনের সংস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো-
১. এসব সংস্থা আন্তর্জাতিক, জাতীয় বা আঞ্চলিকভাবে সেবামূলক, শিক্ষামূলক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে।
২. এসব সংস্থা বৈদেশিক সহায়তা, স্বেচ্ছামূলক কার্যক্রম, রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স– ১৯৭৮ সালের আওতায় সমাজকল্যাণ বিভাগের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত।
৩. এসব সংস্থা যেসব সূত্র থেকে তহবিল পেয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে—
ক. বিভিন্ন উন্নত পুঁজিবাদী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন– ইউএসএআইডি , সিডা , নোরাড ইত্যাদি।
খ. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা যেমন- অক্সফাম, ভোভিড, এন্টার প্রাইজেস, কুশো ইত্যাদি।
গ. বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অথবা তিনটির সবগুলো থেকে বা একাধিক সূত্র থেকে।
৪. এসব সংস্থা বেসরকারি হলেও সরকারি অনুমোদন নিয়েই এরা কাজ করে এবং সরকার গৃহীত পরিকল্পনা নীতির সাথে সম্পর্কিতভাবে বা সরকার নির্দেশিত পথে এদের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
৫. বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থাই বিদেশি সাহায্য দাতাদের নিকট দায়বদ্ধ , উপকারভোগীদের প্রতি নয়।
১. এসব সংস্থা আন্তর্জাতিক, জাতীয় বা আঞ্চলিকভাবে সেবামূলক, শিক্ষামূলক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে।
২. এসব সংস্থা বৈদেশিক সহায়তা, স্বেচ্ছামূলক কার্যক্রম, রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স– ১৯৭৮ সালের আওতায় সমাজকল্যাণ বিভাগের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত।
৩. এসব সংস্থা যেসব সূত্র থেকে তহবিল পেয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে—
ক. বিভিন্ন উন্নত পুঁজিবাদী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন– ইউএসএআইডি , সিডা , নোরাড ইত্যাদি।
খ. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা যেমন- অক্সফাম, ভোভিড, এন্টার প্রাইজেস, কুশো ইত্যাদি।
গ. বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অথবা তিনটির সবগুলো থেকে বা একাধিক সূত্র থেকে।
৪. এসব সংস্থা বেসরকারি হলেও সরকারি অনুমোদন নিয়েই এরা কাজ করে এবং সরকার গৃহীত পরিকল্পনা নীতির সাথে সম্পর্কিতভাবে বা সরকার নির্দেশিত পথে এদের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
৫. বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থাই বিদেশি সাহায্য দাতাদের নিকট দায়বদ্ধ , উপকারভোগীদের প্রতি নয়।
এনজিও রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি |NGO registration procedure
১৯৬১ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধীকরণ ও নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা হয়, "এনজিও বলতে এমন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা সমিতি বোঝায়, যা এক বা একাধিক ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণমূলক সেবাকর্ম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এবং জনগণের চাঁদা ও সাহায্যে সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর হয়ে স্বেচ্ছায় প্রতিষ্ঠিত করে।" এ সংগঠনটি শুরু হওয়ার পূর্বেই রেজিস্ট্রেশন করতে হয় এবং এনজিও ব্যুরো এ সংগঠনকে তদারক করে। রেজিস্ট্রেশন এর জন্য কতগুলো প্রয়োজনীয় বিষয় পূরণ করতে হয়। যেমন-
১. পরিচালনা বা উপদেষ্টা পর্ষদ।
২. ভিশন (Vision), মিশন (Mission) এবং উদ্যেশ্যাবলির (Objective) বর্ণনা।
৩. NGO- র একটি যথার্থ নাম ও মনোগ্রাম, যা ইতোপূর্বে এরূপ কোনো সংগঠনে গৃহীত হয়নি। রেজিস্ট্রেশনের জন্য অন্যান্য যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তা হলো-
১. মিশন বর্ণনা (Mission Statement) যাতে লিপিবদ্ধ থাকে-
ক. We have a dream (স্বপ্ন)
খ . Mission (মিশন)
গ. বিশ্বাস (Belief)
ঘ. লক্ষ্য (a goal) এবং
ঙ. মূল্যবোধ (Core Values) যেখানে জ্ঞান ও মানুষকে কাজে লাগানো হয়।
২. সংগঠিত কার্যক্রমের বর্ণনা
৩. প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্যমান
৪. কর্মীর সংখ্যা
৫. অর্থায়নের উৎস
৬. এনজিও বোর্ডের তথ্য
৭. Memorandum of Association or Bye laws যেখানে সংগঠনটি পরিচালনার বিধি ও উপবিধি লিপিবদ্ধ থাকে।
৮. বার্ষিক কার্যক্রমের রিপোর্ট
৯. অর্থায়ন ও অডিট রিপোর্ট আয় ব্যয়ের তথ্য
১০. অন্যান্য সমর্থক দলিলাদি যেমন কার্যনির্বাহী সভার অনুমোদন ইত্যাদি।