এইচএসসি অর্থনীতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর|Economics short questions with answers
মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা এবং সমাধান
১. দুষ্প্রাপ্যতা কাকে বলে?
উত্তর: অভাবের তুলনায় সম্পদের স্বল্পতা বা অপর্যাপ্ততাকেই অর্থনীতিতে দুষ্প্রাপ্যতা (Scarcity) বলে।
উত্তর: অভাবের তুলনায় সম্পদের স্বল্পতা বা অপর্যাপ্ততাকেই অর্থনীতিতে দুষ্প্রাপ্যতা (Scarcity) বলে।
২. অভাব কী?
উত্তর: মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সাপেক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজন মেটাতে পারে এধরনের পণ্য ও সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছাকে অভাব বলে।
উত্তর: মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সাপেক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজন মেটাতে পারে এধরনের পণ্য ও সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছাকে অভাব বলে।
৩. সম্পদ কী?
উত্তর: যেসব বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্যের উপযোগ আছে যোগান সীমাবদ্ধ, যেগুলোর হস্তান্তরযোগ্যতা, বাহ্যিকতা ও বিনিময় মূল্য রয়েছে সেগুলোই সম্পদ।
উত্তর: যেসব বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্যের উপযোগ আছে যোগান সীমাবদ্ধ, যেগুলোর হস্তান্তরযোগ্যতা, বাহ্যিকতা ও বিনিময় মূল্য রয়েছে সেগুলোই সম্পদ।
৪. অর্থনীতিতে নির্বাচন কী?
উত্তর: সম্পদের মাতার প্রেক্ষিতে অর্থনীতিতে নির্বাচন বলতে অনেক অভাবের মধ্য থেকে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় অভাবগুলো বাছাই করার পন্থাকে বোঝায়।
উত্তর: সম্পদের মাতার প্রেক্ষিতে অর্থনীতিতে নির্বাচন বলতে অনেক অভাবের মধ্য থেকে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় অভাবগুলো বাছাই করার পন্থাকে বোঝায়।
৫. উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা কী?
উত্তর: উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হচ্ছে এমন একটি রেখা যার বিভিন্ন বিন্দুতে সীমিত সম্পদ ও চলতি প্রযুক্তি সাপেক্ষে দুটো উৎপাদিত দ্রব্যের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন সংমিশ্রণ প্রকাশ পায়।
উত্তর: উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হচ্ছে এমন একটি রেখা যার বিভিন্ন বিন্দুতে সীমিত সম্পদ ও চলতি প্রযুক্তি সাপেক্ষে দুটো উৎপাদিত দ্রব্যের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন সংমিশ্রণ প্রকাশ পায়।
৬. PPC- এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: PPC- এর পূর্ণরূপ হলো— Production Possibility Curve.
উত্তর: PPC- এর পূর্ণরূপ হলো— Production Possibility Curve.
৭. সুযোগ ব্যয় কী?
উত্তর: একটি দ্রব্যের অতিরিক্ত উৎপাদন পাওয়ার জন্য অপর দ্রব্যের উৎপাদন যতটুকু ছেড়ে দিতে হয়, সেই ছেড়ে দেওয়ার পরিমাণ হলো সুযোগ ব্যয়।
উত্তর: একটি দ্রব্যের অতিরিক্ত উৎপাদন পাওয়ার জন্য অপর দ্রব্যের উৎপাদন যতটুকু ছেড়ে দিতে হয়, সেই ছেড়ে দেওয়ার পরিমাণ হলো সুযোগ ব্যয়।
৮. মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কী?
উত্তর: কোন কোন দ্রব্য কতটুকু উৎপাদন করা হবে, কোন পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হবে এবং কাদের ভোগের জন্য উৎপাদন করা হবে তা নির্বাচন করাই হলো সমাজের মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা।
উত্তর: কোন কোন দ্রব্য কতটুকু উৎপাদন করা হবে, কোন পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হবে এবং কাদের ভোগের জন্য উৎপাদন করা হবে তা নির্বাচন করাই হলো সমাজের মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা।
৯. সমাজের মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা দুটি কী কী?
উত্ত : সমাজের দুটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা হলো স্বল্পতার সমস্যা ও নির্বাচনের সমস্যা।
উত্ত : সমাজের দুটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা হলো স্বল্পতার সমস্যা ও নির্বাচনের সমস্যা।
১০. অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কী?
উত্তর: যে সব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক পরিবেশ দ্বারা মানুষের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়।
উত্তর: যে সব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক পরিবেশ দ্বারা মানুষের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়।
১১. শ্রমনিবিড় উৎপাদন কৌশল কী?
উত্তর: যে উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রতি একক উৎপাদনের জন্য মূলধনের তুলনায় শ্রম বেশি নিয়োগ করা হয় তাকে শ্রমনিবিড় উৎপাদন কৌশল বলে।
উত্তর: যে উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রতি একক উৎপাদনের জন্য মূলধনের তুলনায় শ্রম বেশি নিয়োগ করা হয় তাকে শ্রমনিবিড় উৎপাদন কৌশল বলে।
১২. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কী?
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি সম্পদের মালিকানা এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বিদ্যমান থাকে তাই ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা । আমেরিকার অর্থনীতি ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অন্তর্গত।
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি সম্পদের মালিকানা এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বিদ্যমান থাকে তাই ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা । আমেরিকার অর্থনীতি ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অন্তর্গত।
১৩. স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা কী?
উত্তর: বাজার চাহিদা ও যোগানের ঘাত - প্রতিঘাতে দাম নির্ধারিত হওয়াকে স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা বলে।
উত্তর: বাজার চাহিদা ও যোগানের ঘাত - প্রতিঘাতে দাম নির্ধারিত হওয়াকে স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা বলে।
১৪. নির্দেশমূলক অর্থব্যবস্থা কী?
উত্তর: নির্দেশমূলক অর্থব্যবস্থা হলো এমন এক ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে দেশের যাবতীয় সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে এবং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার অধীনে অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয়।
উত্তর: নির্দেশমূলক অর্থব্যবস্থা হলো এমন এক ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে দেশের যাবতীয় সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে এবং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার অধীনে অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয়।
১৫. সমাজতন্ত্রে কোন প্রক্রিয়ায় আয় ও সম্পদ বণ্টন করা হয়?
উত্তর: সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্রের প্রয়োজন এবং সার্বিক উন্নয়ন বিবেচনায় রেখে রেশন কার্ডের মাধ্যমে আয় ও সম্পদ বণ্টন করা হয়।
উত্তর: সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্রের প্রয়োজন এবং সার্বিক উন্নয়ন বিবেচনায় রেখে রেশন কার্ডের মাধ্যমে আয় ও সম্পদ বণ্টন করা হয়।
১৬. মিশ্র অর্থব্যবস্থা কী?
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাই মিশ্র অর্থব্যবস্থা। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা মিশ্র অর্থব্যবস্থার অন্তর্গত।
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাই মিশ্র অর্থব্যবস্থা। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা মিশ্র অর্থব্যবস্থার অন্তর্গত।
১৭. ইসলামি অর্থব্যবস্থা কী?
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় কোরআন ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী মানুষের জীবিকা অর্জন এবং যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদিত হয় তাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলা হয়। সৌদি আরবের অর্থব্যবস্থা হলো ইসলামি অর্থব্যবস্থা।
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় কোরআন ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী মানুষের জীবিকা অর্জন এবং যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদিত হয় তাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলা হয়। সৌদি আরবের অর্থব্যবস্থা হলো ইসলামি অর্থব্যবস্থা।
১৮. কর্জে হাসানা কী?
উত্তর: বিনা সুদে অভাবগ্রস্তকে ঋণ দেওয়াকে কর্জে হাসানা বলে। এতে অভাবগ্রস্ত লোক অভাব থেকে মুক্ত হয়।
উত্তর: বিনা সুদে অভাবগ্রস্তকে ঋণ দেওয়াকে কর্জে হাসানা বলে। এতে অভাবগ্রস্ত লোক অভাব থেকে মুক্ত হয়।
১৯. ব্যষ্টিক অর্থনীতি কী?
উত্তর: অর্থশাস্ত্রের যে শাখায় অর্থনীতির অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ব্যষ্টিক অর্থনীতি (Micro Economics) বলে যেমন- একজন ভোক্তার আচরণ, একজন ক্রেতার চাহিদা, কোনো ফার্মের উৎপাদন ও দামনীতি প্রভৃতি।
উত্তর: অর্থশাস্ত্রের যে শাখায় অর্থনীতির অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ব্যষ্টিক অর্থনীতি (Micro Economics) বলে যেমন- একজন ভোক্তার আচরণ, একজন ক্রেতার চাহিদা, কোনো ফার্মের উৎপাদন ও দামনীতি প্রভৃতি।
২০. সামষ্টিক অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর: অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় বা সমস্যা খন্ড খণ্ডভাবে বিশ্লেষণ না করে সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণ করার প্রক্রিয়াকে সামষ্টিক অর্থনীতি বলে। যেমন- বেকার সমস্যা, সামগ্রিক ভোগ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা প্রভৃতি।
উত্তর: অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় বা সমস্যা খন্ড খণ্ডভাবে বিশ্লেষণ না করে সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণ করার প্রক্রিয়াকে সামষ্টিক অর্থনীতি বলে। যেমন- বেকার সমস্যা, সামগ্রিক ভোগ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা প্রভৃতি।
উৎপাদন, উৎপাদন ব্যয় ও আয়
১. উৎপাদন কী?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট কারিগরি জ্ঞানের ভিত্তিতে বস্তুগত উপকরণকে বস্তুগত উৎপাদনে রূপান্তর করে উপযোগ সৃষ্টি করা হয়, তাকে উৎপাদন (Production) বলে।
২. উৎপাদনের উপকরণ কী?
উত্তর: কোনো দ্রব্য উৎপাদন করতে যেসব দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের প্রয়োজন হয় তাদেরকে যৌথভাবে উৎপাদনের উপকরণ (Factors of Production) বলে।
৩. উৎপাদনের প্রধান উপকরণগুলো কী কী?
উত্তর: উৎপাদনের প্রধান উপকরণ ৪ টি। যথা— ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন।
৪. মূলধন কী?
উত্তর: মানুষের উৎপাদিত সম্পদের যে অংশ পুনরায় অধিকতর উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে অর্থনীতিতে মূলধন বলে।
৫. মাত্ৰাগত উৎপাদন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: দীর্ঘকালে উৎপাদনের সকল উপাদান একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে পরিবর্তন করলে মোট উৎপাদনের পরিমাণের যে পরিবর্তন দেখা দেয় তাকে মাত্রাগত পরিবর্তন বা মাত্রাগত উৎপাদন বা Returns to Scale বলে।
৬. প্রান্তিক উৎপাদনের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: অতিরিক্ত এক একক শ্রম নিয়োগ বৃদ্ধির ফলে অথবা এক একক শ্রম নিয়োগ হ্রাস করলে মোট উৎপাদনের যে পরিবর্তন হয় তাকে প্রান্তিক উৎপাদন বলে।
৭. উৎপাদন ব্যয় কী?
উত্তর: কোনো পণ্য উৎপাদনের জন্য উপকরণ বাবদ উৎপাদনকারী যে ব্যয় নির্বাহ করা হয় তাকে উৎপাদন ব্যয় (Cost of Production) বলে।
৮. মোট ব্যয় কী?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দ্রব্যের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ উৎপাদনের জন্য ফরমের মোট যে অর্থ ব্যয় হয় তারে মোট ব্যয় বলে।
বাজার
১. অর্থনীতিতে বাজার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থনীতিতে বাজার বাজার বলতে নির্দিষ্ট কোনো পণ্যকে বুঝায়, যা ক্রেতা ও বিক্রেতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দরকষাকষির মাধ্যমে নির্ধারিত দামে ক্রয়-বিক্রয় হয়।
২. স্বল্পকালীন বাজার কী?
উত্তর: যে বাজারে দ্রব্যের চাহিদার পরিবর্তনের সাথে সাথে যোগান সামান্য পরিবর্তিত হয় তাকে স্বল্পকালীন বাজার (Short Period Market) বলে। যেমন– শাড়ি, লুঙ্গি প্রভৃতি দ্রব্যের বাজার।
৩. অতি স্বল্পকালীন বাজার কী?
উত্তর: যে দ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয় স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয় সে বাজারকে অতি স্বল্পকালীন বাজার (Very Short Period Market) বলে। যেমন— মাছ, দুধ, শাকসবজির বাজার।
8. দীর্ঘকালীন বাজার কী?
উত্তর: যে বাজারে দ্রব্যের চাহিদা পরিবর্তনের সাথে সাড়ানো যোগান পরিবর্তন করা যায় তাকে দীর্ঘকালীন বাজার বলে।
৫. জাতীয় বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যেসব দ্রব্যের কেনাবেচা দেশের মধ্যে সমগ্র এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। থাকে তাকে জাতীয় বাজার বলে। যেমন: চাল, কাপড়, কাগঞ্জ ইত্যাদি।
৬. পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার কী?
উত্তর: যে বাজারে বহু সংখ্যক ক্রেতা ও বিক্রেতা একটি সমজাতীয় দ্রব্য। একটি নির্দিষ্ট দামে ক্রয়-বিক্রয় করে তাকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার (Perfect Competition Market) বলে।
৭. রক্ষণশীল দ্রব্য বলতে কোন দ্রব্যকে বোঝানো হয়?
উত্তর: রক্ষণশীল দ্রব্য (Durable Goods) বলতে সেই সব দ্রব্য বোঝানো হয় যেগুলো স্থায়ী এবং এদেরকে মজুদ করে রাখা যায়।
৮. একচেটিয়া বাজার কী?
উত্তর: যে বাজারে মাত্র একজন উৎপাদনকারী বা বিক্রেতা কোনো দ্রব্যের সম্পূর্ণ যোগান নিয়ন্ত্রণ করে এবং দ্রব্যটির নিকট পরিবর্তিত দ্রব্য থাকে না তাকে একচেটিয়া (Monopoly Market) বাজার বলে।
৯. ডুয়োপলি বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে মাত্র দুজন বিক্রেতা সমগ্র বাজারে পণ্যের যোগান নিয়ন্ত্রণ করে তাকে ডুয়োপলি বাজার বলে।
১০. ডুয়োপসনি বাজার কী?
উত্তর: যে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা মাত্র দুইজন, কিন্তু বিক্রেতার সংখ্যা অসংখ্য থাকে তাকে ডুয়োপসনি বাজার বলে।
১১. মনোপসনি বাজার কী?
উত্তর: যে বাজারে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হলেও ক্রেতার সংখ্যা মাত্র একজন হয় তাকে মনোপসনি বাজার (Monopsony Market) বলে।
১২. অলিগোপলি বাজারের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: যে বাজারে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিক্রেতা সমজাতীয় অথবা পৃথিকীকৃত দ্রব্য বিক্রয় করে, তাকে অলিগোপলি বাজার বলে।
মুদ্রা ও ব্যাংক
১. মুদ্রা বা অর্থ কী?
উত্তর: যা বিনিময়ের সাধারণ মধ্যম, ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের উপায়, মূল্যের পরিমাপ ও সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত ও সকলের নিকট সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য হয় তাকে মুদ্রা বা অর্থ বলা হয়।
২. সবচেয়ে তরল সম্পদ কী?
উত্তর: অর্থ হলো সবচেয়ে তরল সম্পদ।
৩. অসীম বিহিত মুদ্রা কী?
উত্তর: অসীম বিহিত মুদ্রা বলতে এমন এক মুদ্রাকে বোঝায় যা দিয়ে যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায় এবং দেনা পাওনা পরিশোধ করলে পাওনাদার তা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে।
৪. সসীম বিহিত মুদ্রা কী?
উত্তর: সসীম বিহিত মুদ্রা বলতে এমন এক মুদ্রাকে বোঝায় যা দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায় এবং এটি আইনগতভাবে জনগণকে অধিক গ্রহণে বাধ্য করা যায় না।
৫. আমানত কী?
উত্তর: সঞ্চয় কিংবা মুদ্রার নিরাপত্তা বিধানের জন্য জনসাধারণের সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংকে যে হিসাব খুলে তাকেই আমানত বলে।
৬. চলতি আমানত কী?
উত্তর: যে আমানতের অর্থ চাওয়ামাত্র উত্তোলন করা যায় তাকে চলতি আমানত বলে। এ আমানতের জন্য সাধারণত কোনো সুদ দেয়া হয় না।
৭. সঞ্চয়ী আমানত কাকে বলে?
উত্তর: যে আমানতের উপর কিছু সুদ দেওয়া হয় এবং এই সুদ প্রদানের বিনিময়ে ব্যাংক কিছু শর্ত আরোপ করে তাকে সঞ্চয়ী আমানত (Savings Deposits ) বলে।
৮. মুদ্রার চাহিদা কাকে বলে?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশের জনগণ বিভিন্ন প্রয়োজনে নগদ অর্থ হাতে ধরে রাখার প্রবণতাকে মুদ্রার চাহিদা বলে।
৯. মুদ্রার সতর্কতামূলক চাহিদা কী?
উত্তর: পূর্বে পরিকল্পনা করা যায় না এমন ব্যয় মেটানোর জন্য জনসাধারণ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ নগদ মুদ্রা হাতে রাখতে চায় তাকে মুদ্রার সতর্কতামূলক চাহিদা বলে।
১০. অর্থের ফটকা চাহিদা কী?
উত্তর: ফটকা কারবারের উদ্দেশ্যে ফটকা কারবারী যে পরিমাণ নগদ অর্থ হাতে রাখার প্রবণতাকে অর্থের ফটকা চাহিদা বলে।
১১. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাকে বলে?
উত্তর: যে ব্যাংক দেশের মুদ্রা ব্যবসায় ও সমগ্র ব্যাংক ব্যবসায়কে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
১২. ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কী?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের পরিমাণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে তাকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে।
১৩. গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কী?
উত্তর: যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতির বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ও ঋণদানের নিয়মাবলি পরিবর্তন করে তাকে গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে।
১৪. রিজার্ভ হার কী?
উত্তর: প্রত্যেক দেশেই বাণিজ্যিক ব্যাংককে আইন অনুযায়ী বা প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তার মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ রিজার্ভ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোষাগারে জমা রাখতে হয়। এই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থকে রিজার্ভ হার বলে
১৫. বাণিজ্যিক ব্যাংক কী?
উত্তর: যে ব্যাংক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে মুদ্রা ও মুদ্রার মূল্য নিরূপণযোগ্য পণ্যদ্রব্যের লেনদেন করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে।
১৬. তারল্য নীতি কী?
উত্তর: গ্রাহকগণ তাদের জমাকৃত অর্থ চাহিবামাত্র ফেরত দানের ক্ষমতাকে তারল্য নীতি বলে।
১৭. বিল বাট্টাকরণ কী?
উত্তর: মেয়াদ পূর্তির পূর্বে ধারক কর্তৃক কম মূল্যে বিল বিক্রয় করার প্রক্রিয়াকে বিল বাট্টাকরণ বলে।
১৮. অনলাইন ব্যাংকিং কী?
উত্তর: যে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে অনলাইন ব্যাংকিং বলে।
১৯. ই-ব্যাংকিং কী?
উত্তর: ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্রুততার সাথে নির্ভুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার নামই ই - ব্যাংকিং।
ভোক্তা ও উৎপাদকের আচরণ
১. উপযোগ কী?
উত্তর: উপযোগ বলতে কোনো দ্রব্য বা সেবার ঐ বিশেষ গুণকে বোঝায়, যা দ্বারা মানুষের বিশেষ অভাব মেটানো সম্ভব হয়।
২. পর্যায়গত উপযোগ কী?
উত্তর: বিভিন্ন দ্রব্য ভোগ থেকে পর্যায়গত (১ম, ২য় , ৩য়) উপযোগ পরিমাপ করা হলে, তাকে পর্যায়গত উপযোগ (Ordinal Utility) বলে।
৩. মোট উপযোগ কী?
উত্তর: অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দ্রব্য ও সেবার ভোগ থেকে উদ্ভুত তৃপ্তির সমষ্টিগত রূপকে মোট উপযোগ বলে।
৪. প্রান্তিক উপযোগ কী?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি দ্রব্যের অতিরিক্ত এক একক ভোগের ফলে মোট উপযোগ যতটুকু বৃদ্ধি পায় তাকে প্রান্তিক উপযোগ (Marginal Utility) বলে।
৫. চাহিদা কী?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে ক্রেতা কোনো একটি দ্রব্যের যে পরিমাণ ক্রয় করতে ইচ্ছুক, তাকে সে দ্রব্যের চাহিদা বলে।
৬. চাহিদা বিধি কী?
উত্তর: কোনো দ্রব্যের বাজার দামের সাথে তার চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক যে বিধির সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয় তাকে চাহিদা বিধি (Law of Demand) বলে।
৭. নিকৃষ্ট দ্ৰব্য কী?
উত্তর: ক্রেতার আয় বৃদ্ধি পেলে যেসব দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পায় এবং আয় হ্রাস পেলে চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সেগুলোই নিকৃষ্ট দ্রব্য।
৮. চাহিদা ও যোগানের প্রধান নির্ধারকের নাম লেখো।
উত্তর: চাহিদা ও যোগানের প্রধান নির্ধারক হলো দাম।
৯. চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?
উত্তর: একটি দ্রব্যের দামের শতকরা পরিবর্তনের ফলে তার চাহিদার যে শতকরা পরিবর্তন ঘটে তার অনুপাতকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলে।
১০. চাহিদা অপেক্ষক কী?
উত্তর: কোনো দ্রব্যের চাহিদা তার নিজের দাম, সংশ্লিষ্ট দ্রব্যের দাম, ক্রেতার আয়, ক্রেতার রুচি, সময় প্রভৃতির উপর নির্ভরশীল। এসব বিষয়ের সাথে চাহিদার নির্ভরশীলতার সম্পর্ককে চাহিদা অপেক্ষক বলে।
১১. পরিবর্তক বা বিকল্প দ্রব্য কী?
উত্তর: যদি কোনো বিশেষ দ্রব্যের অভাব অন্য দ্রব্যের দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে পূরণ করা সম্ভব হয় তখন তাকে পরিবর্তক বা বিকল্প দ্রব্য (Substitute goods) বলে।
১২. পরিপূরক দ্রব্য কী?
উত্তর: যদি কোনো বিশেষ অভাব পূরণের জন্যে একই সাথে দুই বা ততোধিক প্রব্যের ব্যবহার অপরিহার্য হয় তবে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যসমূহকে পরিপুরক দ্রব্য (Complementary goods) বলে।
১৩. অপেক্ষক কাকে বলে?
উত্তর: দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে নির্ভরশীলতার সম্পর্ক গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা হলে তাকে অপেক্ষক (Function) বলে।
১৪. চলক কী?
উত্তর: চলক হলো এমন কতগুলো রাশি যা পরিবর্তনশীল। অর্থাৎ এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মান ধারণ করতে পারে। সাধারণত ইংরেজি বর্ণমালার শেষের দিকের বর্ণগুলো চলক হিসেবে ব্যবহৃত হয়; যেমন P, Q, R, X, Y, Z তবে অন্য ভাষার বর্ণও চলক হতে পারে; যেমন গ্রিক বর্ণ ইত্যাদি।
১৫. ধ্রুবক কী?
উত্তর: গণিতশাস্ত্রে যেসব বিষয় বা রাশির মান সব অবস্থাতেই অপরিবর্তিত থাকে, তাকে ধ্রুবক (Constant) বলে।
১৬. স্বাধীন চলত কী?
উত্তর: যে চলক বা চলকসমূহ অন্য চলকের মানের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে তাকে স্বাধীন চলক (Independent variable) বলে।
১৭. পরামিতি?
উত্তর: গাণিতিক প্রক্রিয়া যেসব রাশিমান অজ্ঞাত থাকে তাকে পরামিতি বলে।
১৮. রেখার ঢাল কাকে বলে?
উত্তর: কোনো রেখার উল্লম্ব বা উচ্চতা ও আনুভূমিক দৈর্ঘ্যের অনুপাতকে ঐ রেখার ঢাল বলে।
১৯. আয় স্থিতিস্থাপকতার সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: ক্রেতা বা ভোক্তার আর্থিক আয়ের আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তনের ফলে চাহিদার যে আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তন ঘটে তার অনুপাতকে আয় স্থিতিস্থাপকতা (Income Elasticity) বলে।
২০. চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের ফলে তার চাহিদার পরিমাণে যে পরিবর্তন ঘটে তাকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা (Price Elasticity of Demand) বলে।
২১. আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতা কী?
উত্তর: দুটি সম্পর্কযুক্ত দ্রব্যের ক্ষেত্রে একটির দামের শতকরা পরিবর্তনের ফলে অন্যটির চাহিদার যে শতকরা পরিবর্তন ঘটে এ দুয়ের অনুপাতকে আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতা বলে।
২২. যোগান বিধি কী?
উত্তর: যে বিধির সাহায্যে দাম ও যোগানের মধ্যকার সম্পর্ক প্রকাশ করা হয়, তাকে যোগান বিধি (Law of Supply) বলে।
২৩. যোগানের হ্রাস কী?
উত্তর: চাহিদা স্থির থেকে কর ব্যবস্থা, আবহাওয়া, পণ্যের উৎপাদন ব্যয়, প্রযুক্তি ব্যয় ইত্যাদির কারণে পণ্যের সরবরাহ হ্রাস পেলে তাকে যোগানের হ্রাস বলে।
২৪. বাজার ভারসাম্য কী?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট দামে একটি দ্রব্যের বাজারে চাহিদার পরিমাণ ও বাজার যোগানের পরিমাণ সমান হলে যে ভারসাম্য অর্জিত হয়, তাকে বাজার ভারসাম্য (Market Equilibrium) বলে।