স্মারক নোট বা মুদ্রা
স্মারক নোট কাকে বলে?
স্মরণ থেকেই স্মারক শব্দের উৎপত্তি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, স্থান ও ঘটনাসমূহকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে প্রতিকী মুদ্রা বা নোট ছাপে, তাই স্মারক মুদ্রা।
বাংলাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানের স্মারক মুদ্রা ও নোট মুদ্রণ করা হয়ে থাকে।
মুদ্রা বাজারে বিনিময়যোগ্য প্রচলিত মুদ্রা থেকে স্মারক নোটকে আলাদা করার জন্যই এ ধরনের নোটের মান সাধারণত অনিয়মিত মানের যেমনঃ ৪, ২৫, ৬০, ৭৫ এরকম করা হয়ে থাকে।
স্মারক নোট দিয়ে কোন প্রকার কেনাকাটা করা যায় না। এমনকি স্মারক মুদ্রা কোন প্রকার বিনিময় মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করা যায় না।
এ ধরনের মুদ্রা কেবল সংগ্রহ করেই রাখা যায়। মানুষ যেমন মাইকেল জ্যাকসনের ব্যবহৃত একটা সিগারেট পাইপ ২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে রাখতে চাইবে, কেবল তার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে।
অথবা ধরুন, কোনো কাজে লাগে না এমন একটা শোপিস অনেক টাকা খরচ করে আপনি কিনে রেখে দিলেন। স্মারক মুদ্রাও তেমন। এটি আপনি ব্যাংক থেকে একবারের জন্য কিনে নিয়ে যেতে পারবেন।
এরপর সারা জীবন দেখবেন, আর আপনি আফসোস করবেন কেন আমি এগুলো সংগ্রহে রেখেছিলাম।
স্মারক নোট কয়টি?
উত্তর: স্মারক নোটের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়। তবে বর্তমানে, স্বল্প ব্যবহৃত স্মারক নোট হচ্ছেঃ ৳১, ৳৪, ৳২৫, ৳৪০ ও ৳৬০ হচ্ছে স্মারক নোট, অন্যদিকে বহুল ব্যবহৃত নোট হচ্ছেঃ ৳২, ৳৫, ৳১০, ৳২০, ৳৫০, ৳১০০, ৳২০০, ৳৫০০ ও ৳১০০০।