বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয় ব্যয়ের উৎসসমূহ
বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয় ব্যয়ের উৎসসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো:
১. ঋণের সুদ: প্রদত্ব ঋণের বিপরীতে সুদ গ্রহণ করে থাকে, যা বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস।
২. বিনিয়োগ: বাণিজ্যিক ব্যাংক শেয়ারবাজারে লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করে থাকে।
৩. ব্যাংক ড্রাফট, ট্রাভেলারস চেক হতে প্রাপ্ত কমিশন: ব্যাংক ড্রাফট, ট্রাভেলারস চেক হতে কমিশন হিসাবে প্রচুর আয় করে থাকে।
৪. লকার ভাড়া মূল্যবান দলিল, গহনা ইত্যাদির জন্য লকার সুবিধা প্রদান করে। যার বিপরীতে বাণিজ্যিক ব্যাংক সার্ভিস চার্জ আদায় করে থাকে।
৫. প্রতিনিধিত্ব: চেক বা বিলের অর্থ আদায় বা পরিশোধ ইত্যাদি প্রতিনিধিত্বমূলক কাজের জন্য ব্যাংক কমিশন আদায় করে আয় করতে পারে।
৬. শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে মধ্যস্থতা: শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে ব্যাংক আয় করে থাকে।
৭. আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৈদেশিক বাণিজ্যে ও লেনদেন নিষ্পত্তিতে ভূমিকা পালন করে সার্ভিস চার্জ হিসাবেও বাণিজ্যিক ব্যাংক তার আয়ের একটি অংশ অর্জন করে থাকে।
৮. প্রত্যয়পত্র: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমদানিকারকদের প্রত্যয়পত্র (Letter of Credit) ইস্যুর করে মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক কমিশন আয় করতে পারে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের খরচের খাত বাণিজ্যিক ব্যাংক তার ব্যবসা পরিচালনার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত খাতগুলোতে ব্যয় করে থাকে।
১. আমানতের উপর সুদ
২. কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদত্ত ধারের উপর সুদ
৩. অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে গৃহীত ঋণের সুদ
৪. কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদান
৫. পরিচালক ও ব্যবস্থাপকের ভাতা
৬. নিরীক্ষকের বিল
৭. অনাদায়ী ঋণের মামলা-মোকাদ্দমার খরচ
৮. অফিস ও গুদাম ঘরের ভাড়া
৯. শুল্ক ও কর
১০. বিমা প্রিমিয়াম
১১. যোগাযোগ খরচ
১২. বিজ্ঞাপন খরচ
১৩. কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ খরচ
১৪. আইসিটি ব্যবহারের খরচ