এইচ.এস.সি অর্থনীতি ১ম পত্র- ১০ম অধ্যায় মুদ্রা ও ব্যাংক প্রশ্ন ও উত্তর
মুদ্রা ও ব্যাংক জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. মুদ্রা বা অর্থ কী?
উত্তর: যা বিনিময়ের সাধারণ মধ্যম, ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের উপায়, মূল্যের পরিমাপ ও সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত ও সকলের নিকট সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য হয় তাকে মুদ্রা বা অর্থ বলা হয়।
২. সবচেয়ে তরল সম্পদ কী?
উত্তর: অর্থ হলো সবচেয়ে তরল সম্পদ।
৩. অসীম বিহিত মুদ্রা কী?
উত্তর: অসীম বিহিত মুদ্রা বলতে এমন এক মুদ্রাকে বোঝায় যা দিয়ে যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায় এবং দেনা পাওনা পরিশোধ করলে পাওনাদার তা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে।
৪. সসীম বিহিত মুদ্রা কী?
উত্তর: সসীম বিহিত মুদ্রা বলতে এমন এক মুদ্রাকে বোঝায় যা দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায় এবং এটি আইনগতভাবে জনগণকে অধিক গ্রহণে বাধ্য করা যায় না।
৫. আমানত কী?
উত্তর: সঞ্চয় কিংবা মুদ্রার নিরাপত্তা বিধানের জন্য জনসাধারণের সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংকে যে হিসাব খুলে তাকেই আমানত বলে।
৬. চলতি আমানত কী?
উত্তর: যে আমানতের অর্থ চাওয়ামাত্র উত্তোলন করা যায় তাকে চলতি আমানত বলে। এ আমানতের জন্য সাধারণত কোনো সুদ দেয়া হয় না।
৭. সঞ্চয়ী আমানত কাকে বলে?
উত্তর: যে আমানতের উপর কিছু সুদ দেওয়া হয় এবং এই সুদ প্রদানের বিনিময়ে ব্যাংক কিছু শর্ত আরোপ করে তাকে সঞ্চয়ী আমানত (Savings Deposits) বলে।
৮. মুদ্রার চাহিদা কাকে বলে?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশের জনগণ বিভিন্ন প্রয়োজনে নগদ অর্থ হাতে ধরে রাখার প্রবণতাকে মুদ্রার চাহিদা বলে।
৯. মুদ্রার সতর্কতামূলক চাহিদা কী?
উত্তর: পূর্বে পরিকল্পনা করা যায় না এমন ব্যয় মেটানোর জন্য জনসাধারণ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ নগদ মুদ্রা হাতে রাখতে চায় তাকে মুদ্রার সতর্কতামূলক চাহিদা বলে।
১০. অর্থের ফটকা চাহিদা কী?
উত্তর: ফটকা কারবারের উদ্দেশ্যে ফটকা কারবারী যে পরিমাণ নগদ অর্থ হাতে রাখার প্রবণতাকে অর্থের ফটকা চাহিদা বলে।
১১. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাকে বলে?
উত্তর: যে ব্যাংক দেশের মুদ্রা ব্যবসায় ও সমগ্র ব্যাংক ব্যবসায়কে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
১২. ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কী?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের পরিমাণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে তাকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে।
১৩. গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কী?
উত্তর: যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতির বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ও ঋণদানের নিয়মাবলি পরিবর্তন করে তাকে গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে।
১৪. রিজার্ভ হার কী?
উত্তর: প্রত্যেক দেশেই বাণিজ্যিক ব্যাংককে আইন অনুযায়ী বা প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তার মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ রিজার্ভ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোষাগারে জমা রাখতে হয়। এই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থকে রিজার্ভ হার বলে
১৫. বাণিজ্যিক ব্যাংক কী?
উত্তর: যে ব্যাংক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে মুদ্রা ও মুদ্রার মূল্য নিরূপণযোগ্য পণ্যদ্রব্যের লেনদেন করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে।
১৬. তারল্য নীতি কী?
উত্তর: গ্রাহকগণ তাদের জমাকৃত অর্থ চাহিবামাত্র ফেরত দানের ক্ষমতাকে তারল্য নীতি বলে।
১৭. বিল বাট্টাকরণ কী?
উত্তর: মেয়াদ পূর্তির পূর্বে ধারক কর্তৃক কম মূল্যে বিল বিক্রয় করার প্রক্রিয়াকে বিল বাট্টাকরণ বলে।
১৮. অনলাইন ব্যাংকিং কী?
উত্তর: যে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে অনলাইন ব্যাংকিং বলে।
১৯. ই - ব্যাংকিং কী?
উত্তর: ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্রুততার সাথে নির্ভুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার নামই ই-ব্যাংকিং।
মুদ্রা ও ব্যাংক অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. মুদ্রা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যা বিনিময়ের মাধ্যমে, সঞ্চয়ের ভাণ্ডার, মূল্যের পরিমাপক হিসেবে কাজ করে, তাই মুদ্রা। বর্তমানে মুদ্রাই বিনিময়ের সর্বজনস্বীকৃত মাধ্যম। এর দ্বারা ক্রয় - বিক্রয় এবং সকল প্রকার লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। বিভিন্ন দেশে মুদ্রা বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন– বাংলাদেশে টাকা, ভারতে রূপি, জাপানে ইয়েন, জার্মানিতে ইউরো, যুক্তরাজ্যে পাউন্ড স্টার্লিং প্রভৃতি।
২. মুদ্রার যোগান বলতে কী শুধু চাহিদা আমানতকেই নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মুদ্রার যোগান বলতে শুধু চাহিদা আমানতকেই নির্দেশ করে না। মুদ্রার যোগান ধারণাটি যখন সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয় তখন তা একটি দেশে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে প্রচলিত কাগজি নোট ও ধাতব মুদ্রা এবং ব্যাংকে রক্ষিত চাহিদা আমানতের সমষ্টিকে বোঝায়। আর বৃহত্তর অর্থে মুদ্রার যোগান হলো একটি দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রচলিত কারেন্সি ও ব্যাংকে রক্ষিত চাহিদা আমানত এবং মেয়াদি আমানতের সমষ্টি। সুতরাং, মুদ্রার যোগান বলতে কেবল চাহিদা আমানতকে নির্দেশ করে না। চাহিদা আমানত মুদ্রার যোগানের একটি অংশ মাত্র।
৩. মুদ্রা মূল্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থের মূল্য বলতে তার ক্রয় ক্ষমতাকে বোঝায়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দ্বারা যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা ক্রয় করা যায় তাই হলো অর্থের মূল্য। অর্থের এ ক্রয়ক্ষমতা তথা অর্থের মূল্য দুটি দিক থেকে বিবেচনা করা হয়। যথা— অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ক্রয় ক্ষমতা। অর্থের অভ্যন্তরীণ মূল্য বলতে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থের ক্রয় ক্ষমতাকে বোঝায়। অন্যদিকে, অর্থের বৈদেশিক মূল্য বলতে আন্তর্জাতিক বাজারে তার ক্রয় ক্ষমতাকে বোঝায়।
৪. অর্থের মূল্যের সাথে দ্রব্যমূল্যের সম্পর্ক লিখ।
উত্তর: অর্থের মূল্যের সাথে দ্রব্য মূল্যের বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। অর্থের মূল্য অর্থের ক্রয় ক্ষমতাকে নির্দেশ করে বলে দ্রব্যমূল্য অর্থমূল্যকে প্রভাবিত করে। যখন দ্রব্যমূল্য কমে তখন একই একক অর্থ দ্বারা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করা যায় বলে সেক্ষেত্রে অর্থের মূল্য বাড়ে। আবার দ্রব্যমূল্য বাড়লে এক একক অর্থ দ্বারা আগের চেয়ে কম পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করা যায় বলে সেক্ষেত্রে অর্থের মূল্য কমে। তাই বলা যায়, দ্রব্যমূল্যই অর্থমূল্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
৫. কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকল ব্যাংকের ব্যাংক -ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের অর্থবাজার এবং ব্যাংকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র ব্যাংক। এ ব্যাংক নোট ও মুদ্রা ইস্যু করে সরকারের এবং অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ব্যাংক তাদের নগদ সঞ্চয়ের একটি অংশ প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ওপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং দুর্দিনে তাদেরকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে আন্তঃব্যাংকিং কাজ সম্পন্ন করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে পুনঃবাট্টা সুবিধা প্রদান করে থাকে। এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকল ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে।
৬. বাণিজ্যিক ব্যাংক বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে যে ব্যাংক পরিচালিত হয় তাই হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক। মুনাফা অর্জন করতে হলে ব্যাংককে অর্থের লেনদেন করতে হয়। সেজন্য ব্যাংক জনসাধারণের অর্থ জমা রাখে এবং তার বিনিময়ে জনসাধারণকে সুদ প্রদান করে। ব্যবসায় - বাণিজ্যের লক্ষ্যে উক্ত অর্থ ব্যাংক বিনিয়োগকারীকে ঋণ দিয়ে তার নিকট থেকে সুদ আদায় করে। উপরিউক্ত দু'ধরনের কার্যাবলির মাধ্যমে যে উদ্বৃত্ত পাওয়া যায় তাই ব্যাংকের মুনাফা। ঋণ নিয়ে কার্যাবলি পরিচালিত হয় বলে বাণিজ্যিক ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদি ঋণের কারবারিও বলে।
৭. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে 'নিকাশঘর' বলার কারণ কী?
উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্তঃব্যাংক হিসাব নিষ্পত্তি করার কাজটিকেই 'নিকাশঘর' বলা হয়। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকের ভিন্ন ভিন্ন শাখার মধ্যে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনের নিষ্পত্তি স্থলকে নিকাশঘর বা ক্লিয়ারিং হাউজ বলে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংকসমূহ তাদের মধ্যকার সব দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে থাকে। পৃথিবীর সব দেশেই এ নিকাশঘর ব্যবস্থা রয়েছে এবং প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দায়িত্ব পালন করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এদায়িত্ব পালন করে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ‘নিকাশঘর’ বলা হয়। এর ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা তথা আর্থিক লেনদেন আরও গতিশীল হয়।
৮. ব্যাংক হার কীভাবে মুদ্রার যোগানকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: ব্যাংক হারের পরিবর্তন দ্বারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন দেশে মুদ্রার যোগান কমাতে চায় তখন ঋণের পরিমাণ কমানোর জন্য ব্যাংক হার বাড়ায়। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট থেকে ঋণ নিতে অপেক্ষাকৃত অধিক হারে সুদ দিতে হয় বলে তারা তাদের প্রদেয় ঋণের জন্য সুদহার বাড়ায়। এ অবস্থায় ঋণগ্রহীতারা অধিক সুদ হারের জন্য স্বল্প পরিমাণ ঋণ নিলে অর্থের যোগান কমে যায়। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশে মুদ্রা যোগান বাড়াতে চাইলে ব্যাংক হার কমিয়ে দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কম সুদের হারে অধিক ঋণ দিতে সাহায্য করে।
৯. কোন ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলে এবং কেন?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলা হয়। কারণ এ ব্যাংক জনগণের নিকট হতে প্রথমে আমানত সংগ্রহ করে উক্ত আমানত পরবর্তীতে নির্দিষ্ট হারে জমা রেখে বাকি অংশ বিনিয়োগ করে অর্থাৎ অন্য স্থানে ঋণ দেয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকের এরূপ ঋণদান কাজ সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে। কারণ গ্রাহক তার জমাকৃত অর্থ যেকোনো সময় ফেরত চাইতে পারে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক তার ঋণের মেয়াদ স্বল্পমেয়াদি করে। তাই বলা যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী।
১০. বাণিজ্যিক ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয় না কেন?
উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয় না কারণ আমানতকারীগণ বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য টাকা জমা রাখে এবং প্রয়োজনের সময় উঠিয়ে নেয়। প্রকৃতিগতভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী। অর্থাৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্প ও মধ্যমেয়াদের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে। দীর্ঘমেয়াদের জন্য ঋণ দেয় না। কেননা বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমানতকারীগণ বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য টাকা জমা রাখে এবং প্রয়োজনের সময় টাকা উঠিয়ে নেয়। ফলে খুব বেশি সময়ের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক অধিক মুনাফা লাভের আশায় ঋণ দিতে পারে না। কারণ বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহককে চাহিবামাত্র টাকা পরিশোধে বাধ্য থাকে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয় না।
১১. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে অর্থের মূল্যের উপর কোন ধরনের প্রভাব পড়ে?
উত্তর: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে অর্থের মূল্য কমতে থাকে। যখন দ্রব্যমূল্য কমে তখন এক একক অর্থ দ্বারা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করা যায় বলে সেক্ষেত্রে অর্থের মূল্য বাড়ে। আবার দ্রব্যমূল্য বাড়লে এক একক অর্থ দ্বারা আগের চেয়ে কম পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করা যায় বলে সেক্ষেত্রে অর্থের মূল্য কমে। তাই বলা যায়, দ্রব্যমূল্য ও অর্থের মূল্যের মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে অর্থের মূল্য কমে?
১২. অনলাইন ব্যাংকিং এর গঠন প্রক্রিয়া, মোবাইল ব্যাংকিং এর গঠন প্রক্রিয়ার চেয়ে ভিন্ন –ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ব্যাংকিং সুবিধা ও গঠন প্রক্রিয়া দিক থেকে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে ভিন্ন। অনলাইন ব্যাংকিং এমন ব্যাংকিং ব্যবস্থা যার মাধ্যমে পূর্বে প্রচলিত ব্যাংকিং সার্ভিস দ্রুত এবং ব্রাঞ্চ নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা যায়। যেমন- অ্যাকাউন্ট থেকে যেকোনো ব্রাঞ্চের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া বা উত্তোলন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের তথ্য জানা বা লেনদেন। অপরপক্ষে মোবাইল ব্যাংকিং একটি সম্পূর্ণ নতুন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে মোবাইল নম্বরভিত্তিক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থের লেনদেন করা যায়। অনলাইন ব্যাংকিংয়ে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহৃত হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে Mobile নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়। অনলাইন ব্যাংকিং - এ ইন্টারনেট ও কম্পিউটার থাকা আবশ্যক। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং - এ গ্রাহকের কাছে ইন্টারনেটের কোনো প্রয়োজন নেই।
তাই বলা হয়, অনলাইন ব্যাংকিং গঠন প্রক্রিয়া, মোবাইল ব্যাংকিং গঠন প্রক্রিয়ার থেকে ভিন্ন।