এইচ.এস.সি অর্থনীতি ২য় পত্র ৯ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
সরকারি অর্থব্যবস্থা অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. রাজস্ব ব্যয় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: দেশের ভেতরে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা, সরকারি সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ, জনসাধারণকে সরকারি সেবা প্রদান, কর, ফি, জরিমানা ইত্যাদি আদায়, সরকারি ঋণের ওপর সুদ প্রদান প্রভৃতি কাজের জন্য সরকারের যে ব্যয় হয় তাকে রাজস্ব ব্যয় বলে। রাজস্ব ব্যয় হলো সরকারের চলতি ব্যয় এবং তা পুনঃপুন ঘটে।
২. ব্যক্তিগত অর্থব্যবস্থার তুলনায় সরকারি অর্থব্যবস্থা উদার— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ব্যক্তিগত অর্থব্যবস্থার তুলনায় সরকারি অর্থব্যবস্থা অধিক উদার। ব্যক্তিগত অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি তার আয় অনুযায়ী ব্যয় করে। অর্থাৎ ব্যক্তি তার আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় সাধন করে। অপরদিকে সরকার সাধারণত ব্যয় অনুযায়ী আয় করে এবং ব্যয়ের সাথে আয়ের সমন্বয় সাধন করে। এছাড়া নিরাপত্তা, লোকের ঈর্ষা, কর ফাঁকি প্রভৃতি কারণে ব্যক্তি তার আয় - ব্যয়ের হিসাব গোপন রাখে। কিন্তু সরকারি আয় - ব্যয়ের হিসাব গোপন রাখা হয় না। যেমন- বিভিন্ন বক্তৃতায়, রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র প্রভৃতির মাধ্যমে সরকারের আয় - ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়। তাই বলা যায়, ব্যক্তিগত অর্থব্যবস্থার তুলনায় সরকারি অর্থব্যবস্থা উদার।
৩. প্রাকৃতিক সম্পদ কীভাবে অতিরিক্ত রাষ্ট্রীয় আয় সৃষ্টি করতে পারে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দেশের বিদ্যমান বা আবিষ্কৃত সকল প্রাকৃতিক সম্পদের মালিক হলো সরকার। এ সম্পদ বিক্রি করে অর্জিত আয় সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যয় নির্বাহে ব্যবহার করতে পারে অথবা এ সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মিত শিল্প - কারখানা হতে অতিরিক্ত রাষ্ট্রীয় আয় সৃষ্টি করতে পারে।
৪. দিনদিন সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?
উত্তর: দিনদিন সরকারের কল্যাণমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা, দেশরক্ষা, আইন - শৃঙ্খলা রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার যে অর্থ ব্যয় করে তাকে সরকারি ব্যয় বলে। বর্তমানে প্রতিটি দেশের সরকার কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী বা সচেষ্ট। এজন্য সরকার মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইন - শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রভৃতি উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এসব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
৫. সরকারি ব্যয় কীভাবে কর্মসংস্থান ঘটায়?
উত্তর: সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানারূপ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক অর্থ ব্যয় করে। সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে যেমন নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি হয়, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। মনে করা যাক, সরকার কোনো স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করল। এখন এই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সুতরাং, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়।
৬. রাষ্ট্র পরিচালনাই সরকারি ব্যয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সরকারি ব্যয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। কুমুদিনী সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইল। তাই রাষ্ট্র পরিচালনাই সরকারি ব্যয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য নয় । রাষ্ট্র পরিচালনা করতে বিভিন্ন খাতে সরকারের যে ব্যয় হয় তাকে সরকারি ব্যয় বলে। দেশ ও দেশের জনসাধারণের বিদেশি আক্রমণ হতে রক্ষা, অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনসাধারণের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে কল্যাণ সাধন করতে সরকার অর্থ ব্যয় করে থাকে। জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যয় করে, তাই রাষ্ট্র পরিচালনাই সরকারি ব্যয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়।
৭. অনুন্নয়নমূলক ও উন্নয়নমূলক ব্যয় কাকে বলে?
উত্তর: সরকারি ব্যয়কে আবার অনুন্নয়নমূলক ও উন্নয়নমূলক ব্যয় এ দু ভাগে ভাগ করা যায়। প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা, অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা, দেশরক্ষা ইত্যাদি কাজের জন্য সরকারের যে ব্যয় হয় তাকে অনুন্নয়নমূলক ব্যয় বলে। অন্যদিকে, পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, সেচ প্রকল্প, শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, শিল্প ও কৃষি উন্নয়ন, বন্দর ও বাঁধ নির্মাণ, পানিসম্পদের উন্নয়ন ইত্যাদি কাজের জন্য যে ব্যয় হয় তাকে উন্নয়নমূলক ব্যয় বলে।
৮. সরকারের ব্যয়নীতি সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর: একটি দেশের সরকার নির্দিষ্ট সময়ে কীভাবে অর্থ ব্যয় করবে সে নীতিই উক্ত দেশের সরকারের ব্যয়নীতি। ব্যয়নীতিতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয়ের খাত ঠিক করে অগ্রাধিকার ভিত্তিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিবছর বার্ষিক বাজেটের মাধ্যমে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় ব্যয়নীতির আলোকে তা ব্যয় করা হয়ে থাকে। একটি দেশের জন্য স্বতন্ত্র ব্যয়নীতি থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।
৯. সরকার আয় করে কেন?
উত্তর: দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারের আয়ের প্রয়োজন হয়। প্রতিটি দেশের সরকারই নাগরিকের কল্যাণ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যাবলি থেকে শুরু করে আর্থ - সামাজিক উন্নয়ন এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারকে বিভিন্ন উৎস থেকে আয় বা রাজস্ব সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে তার আয় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হয়। সুতরাং বলা যায় প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ব্যয় নির্বাহের জন্যই সরকার আয় করে।
১০. মূল্য সংযোজন করকে পরোক্ষ কর বলা হয় কেন?
উত্তর: মূল্য সংযোজন করের ক্ষেত্রে করদাতা উক্ত করের অর্থ তার পণ্যের ক্রেতাদের কাছ থেকে পরবর্তীতে আদায় করে নিতে পারে বলে একে পরোক্ষ কর বলা হয়। পরোক্ষ কর বলতে ওই করকে বোঝায় যে করের করঘাত ও করপাত ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ওপর পড়ে। পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে যার ওপর কর ধার্য করা হয় সে প্রাথমিকভাবে তা প্রদান করলেও পরে অন্যের কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারে। আর মূল্য সংযোজন করের ক্ষেত্রে করদাতা তার ওপর আরোপিত কর প্রদান করলেও পরে বর্ধিত দামের মাধ্যমে তা ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করে। এজন্য এ করকে পরোক্ষ কর বলা হয়।
১১. প্রত্যক্ষ কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেশি।- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রত্যক্ষ করের ভার অন্যের ওপর চাপানো যায় না বলে এ কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেশি। যে ব্যক্তির ওপর কর আরোপ করা হয় তাকেই যদি করের বোঝা বহন করতে হয় তাহলে উক্ত করকে প্রত্যক্ষ কর বলে। অর্থাৎ, এ করের করঘাত ও করপাত একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর পড়ে। যেমন- আয়কর, ভূমিকর, সম্পদকর ইত্যাদি এ সকল করের ভার সরাসরি করদাতাকেই বহন করতে হয়। এজন্যই এ সকল কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
১২. আয়করকে প্রত্যক্ষ কর বলা হয় কেন?
উত্তর: আয়কর যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপ করা হয় উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেই এর সম্পূর্ণ ভার বহন করতে হয়। তাই আয়করকে প্রত্যক্ষ কর বলা হয়। যে সকল করের ভার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি বহন করে এবং ইচ্ছা করলেই ওই করের ভার আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অন্যকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপাতে পারে না সে সকল করকে সাধারণত প্রত্যক্ষ কর বলা হয়। আয়করকেও প্রত্যক্ষ কর বলা যায়। কারণ, এই কর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর নির্দিষ্ট হারে আরোপ করা হয় এবং উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেই এই কর পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে করের বোঝা অন্য কারো ওপর চাপানো যায় না। তাই আয়করকে প্রত্যক্ষ কর বলা হয়।
১৩. ফি বাধ্যতামূলক দেয় নয় কেন?
উত্তর: সরকার কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ ধরনের সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে তার কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করে তাকে ফি বলে। ফি এর বৈশিষ্ট্য হলো, এটি করের মতো বাধ্যতামূলক ও সুবিধাহীন নয়; কোনো ব্যক্তি কাছ থেকে কেবল সরকারি সুবিধা প্রদানের জন্যই এটি আদায় করা হয়। যেমন— কোর্ট ফি, জমি রেজিস্ট্রেশন ফি, বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স ফি ইত্যাদি। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত সেবার অনুপাতে ফি প্রদান করে থাকে। তাই ফি দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
১৪. কোন কর জনপ্রিয় এবং কেন?
উত্তর: করদাতা পণ্য করের বোঝা অনুভব করতে পারে না বলে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি কর পণ্য কর বলতে মূলত কোনো পণ্যের ওপর আরোপিত করকেই বোঝায়। যেমন বিক্রয় কর, আবগারি শুল্ক, আমদানি - রপ্তানি কর, মূল্য সংযোজন কর ইত্যাদি। এ ধরনের কর দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়ের সাথে প্রদান করতে হয়। তাই করদাতা আলাদা করে এই করের ভার অনুভব করে না। এজন্যই মূলত, এই করটি জনপ্রিয়।
১৫. আয়কর কী সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্ষম?
উত্তর: আয়কর সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্ষম। আয়বর্ষে একজন করদাতার বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত আয় করযোগ্য ন্যূনতম সীমা অতিক্রম করলে আয়কর আইন অনুসারে করদাতাকে যে কর ধার্য করা হয় তাকে আয়কর বলে। সাধারণত যাদের আয়ের পরিমাণ বেশি তারা বেশি কর প্রদান করে। সরকার এ কর জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে। এতে আয়ের বৈষম্য কিছুটা হলেও হ্রাস পায়। আয়কর রিটার্ন জমা নেওয়ার সময় সম্পদ অর্জনের উৎস দেখাতে হয় বলে সমাজে দুর্নীতি কমে যায়। সর্বোপরি আয়কর সমাজে আয়ের ক্ষেত্রে অল্প হলেও সমতা বিধানের চেষ্টা করে।
১৬. অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার কীভাবে ঋণ নেয়?
উত্তর: সরকারি বন্ড বিক্রির মাধ্যমে অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার ঋণ নিতে পারে। সরকার অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কোম্পানি, বিনিয়োগ ট্রাস্ট, সঞ্চয় ব্যাংক ইত্যাদির কাছে বন্ড বিক্রি করে অলস অর্থ সংগ্রহ করে। এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাকে। কারণ সরকারি বন্ড সম্পূর্ণ ঝুঁকিহীন এবং এতে উক্ত তারল্য মান বিদ্যমান থাকে। এভাবে সরকার বন্ড বিক্রির মাধ্যমে অ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করে থাকে।
১৭. ‘সরকারি ঋণের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করা’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করা সরকারি ঋণের অন্যতম উদ্দেশ্য। যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। আয়ের স্বাভাবিক উৎস থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা যায় না। তাই ঋণ নিয়ে সরকার জরুরি প্রয়োজন মেটায়। যেমন- বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঝড়, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, মহামারি প্রভৃতি আকস্মিক দুর্ঘটনার সময় সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এ কারণে বলা হয়, সরকারি ঋণের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করা।
১৮. সরকার কেন ঋণ গ্রহণ করে?
উত্তর: সরকার সাধারণত কর ও অন্যান্য স্বাভাবিক উৎস হতে প্রাপ্ত আয় দ্বারা ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু অনেক সময় স্বাভাবিক উৎস হতে প্রাপ্ত আয় সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত হয় না। তাই সরকার ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। সরকার কর্তৃক গৃহীত এই ঋণকে সরকারি ঋণ বলা হয়। সরকার নিজ দেশ ও বিদেশ উভয় ক্ষেত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে।