টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি

টেকসই উন্নয়ন হলো ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং “টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা” হিসেবে লক্ষ্যগুলোকে প্রচার করেছে। এসব লক্ষ্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- কে প্রতিস্থাপন করেছে, যা ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মেয়াদ ২০১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে ১৯৩টি দেশ নিমোক্ত ১৭ লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে একমত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাসমূহ:
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা
১. দারিদ্র বিমোচন: সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র নির্মূল করা। 

২. ক্ষুধা মুক্তি: ক্ষুধা মুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টির লক্ষ্য অর্জন ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা চালু।

৩. সুস্বাস্থ্য: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা ও সব বয়সের সবার কল্যাণে কাজ করা।

৪. মানসম্মত শিক্ষা: অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সমতা-ভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা।

৫. লিঙ্গ সমতা: লিঙ্গ সমতা অর্জন এবং সব নারী ও মেয়ের ক্ষমতায়ন করা।

৬. সুপেয় পানি ও পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা: সবার জন্য পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সহজ প্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

৭. নবায়নযোগ্য ও ব্যয়সাধ্য জ্বালানী: সবার জন্য ব্যয়সাধ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানী সুবিধা নিশ্চিত করা।

৮. কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি: সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পুর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল ও উপযুক্ত কাজের সুবিধা নিশ্চিত করা।

৯. উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো: দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করা, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়ন করা এবং উদ্ভাবন উৎসাহিত করা।

১০. বৈষম্য হ্রাস: দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় বৈষম্য হ্রাস করা।

১১. টেকসই নগর ও সম্প্রদায়: নগর ও মানব বসতিগুলোকে অন্তর্ভূক্তিমূলক, নিরাপদ, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই করে তোলে।

১২. সম্পদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহার: টেকসই ভোগ ও উৎপাদন রীতি নিশ্চিত করা।

১৩. জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ: জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১৪. টেকসই মহাসাগর: টেকসই উন্নয়নের জন্য মহাসাগর, সাগর ও সাদুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও সেগুলোর টেকসই ব্যবহার করা।

১৫. ভূমির টেকসই ব্যবহার: পৃথিবীর ইকোসিস্টেমের সুরক্ষা, পুনর্বহাল ও টেকসই ব্যবহার করা, টেকসইভাবে বন ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ রোধ, ভূমিক্ষয় রোধ ও বন্ধ করা এবং জীববৈচিত্রের ক্ষতি রোধ করা।

১৬. শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ তৈরি করা, সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ প্রদান করা এবং সর্বস্তরে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

১৭. টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব: বাস্তবায়নের উপায়গুলো জোরদার করা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব পুনর্জীবিত করা।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url