মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
বাংলাদেশে, মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে, ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম লাইনের নির্মাণকাজ চলছে। এই লাইনটি উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রসারিত হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেট্রোরেল চালু হলে, এটি ঢাকার অর্থনীতিকে গতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি ঢাকাকে একটি আধুনিক এবং পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে, মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে। ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে এমআরটি লাইন ৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় মেট্রোরেল আংশিক চালু হয় এবং তিনি মেট্রোরেলের প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার অংশ ছিলেন, যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়। শুরুতে শুধু উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) এবং আগারগাঁও এই দুইটি স্টেশনে ট্রেন থামত, এরপর ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ পল্লবী স্টেশন খুলে দেওয়া হয়। মার্চ মাসের শেষের দিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সব স্টেশন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকায় সব জায়গায় পুরোপুরিভাবে প্রথম মেট্রোরেল চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেট্রোরেল চালু হলে, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এটি একটি শহরের অর্থনীতিকে গতি দিতে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করে। মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিম্নরূপ:
১. যাতায়াতের সময় এবং ব্যয় কমায়: মেট্রোরেলের যাতায়াত দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য। এটি ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর চেয়ে অনেক কম সময় এবং অর্থ ব্যয় করে। একটি গবেষণা অনুসারে, মেট্রোরেলের কারণে কর্মীদের যাতায়াতের সময় প্রতিদিন প্রায় 30 মিনিট কমে যায়। এটি কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপস্থিতি এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর চেয়ে মেট্রোরেলের যাতায়াত খরচও অনেক কম। একটি গবেষণা অনুসারে, মেট্রোরেলের যাতায়াত খরচ ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর খরচের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এটি কর্মীদের এবং সাধারণ মানুষের জন্য অর্থ সাশ্রয় করে।
২. পরিবেশ দূষণ কমায়: মেট্রোরেলের কারণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল কমে যায়। এর ফলে, বায়ু এবং শব্দ দূষণ কমে যায়। একটি গবেষণা অনুসারে, মেট্রোরেলের কারণে বায়ু দূষণ প্রায় 20% কমে যায়। এটি জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং পরিবেশগতভাবে আরও টেকসই।
৩. পর্যটন শিল্পকে প্রচার করে: মেট্রোরেলের কারণে শহরের ভ্রমণ করা সহজ হয়। এর ফলে, পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। একটি গবেষণা অনুসারে, মেট্রোরেলের কারণে পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় 20% বৃদ্ধি পায়। এটি পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করে।
৪. অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে সহায়তা করে: মেট্রোরেলের কারণে ব্যবসা এবং শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়। এটি অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে সহায়তা করে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে। একটি গবেষণা অনুসারে, মেট্রোরেলের কারণে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি প্রায় 3% বৃদ্ধি পায়। এটি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে যা মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক প্রভাব দেখায়:
- যুক্তরাজ্যের লন্ডন মেট্রোরেল প্রতি বছর প্রায় £1.5 বিলিয়ন অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে।
- জাপানের টোকিও মেট্রোরেল প্রতি বছর প্রায় £12 বিলিয়ন অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে।
- দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল মেট্রোরেল প্রতি বছর প্রায় £5 বিলিয়ন অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে।
এই উদাহরণগুলি দেখায় যে মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক প্রভাব উল্লেখযোগ্য হতে পারে।