৫ টাকার নোট

৫ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য

৫ টাকার নোট
৫ টাকার নোট সামনের অংশে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং পিছনের অংশে নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদের ছবি রয়েছে। নতুনভাবে মুদ্রিত এ নোটের উভয় পিঠের উপরের অংশে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ লেখা এবং পেছনের অংশে ডান দিকে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক রয়েছে। নোটটির আকার, জলছাপ, ডিজাইন ও অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বর্তমানে প্রচলিত থাকা নোটের অনুরূপ।নতুন মুদ্রিত নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত ৫ টাকা মূল্যমানের নোট এবং ধাতব মুদ্রাও চালু থাকবে।

কত সালে ৫ টাকার নোট সরকারি নোট হিসেবে ঘোষণা করা হয়?


উত্তর: ২০১৬ সালের জুনে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর করা ৫ টাকার নোট বাজারে আসার আগে এটি ব্যাংক নোট হিসেবে ছিল। তবে ৫ জুন প্রথমবারের মতো সরকারি নোট হিসেবে পাঁচ টাকার নোট বাজারে আসে। এর আগে ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ টাকাকে ব্যাংক নোট থেকে সরকারি নোটে রূপান্তরের প্রস্তাবে সম্মতি দেন। এর পরই অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদের স্বাক্ষরে নতুন পাঁচ টাকার নোট ছাপার কাজে হাত দেয় সরকার।

নতুন ব্যাংক নোটে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা থাকে তিন জায়গায়। সামনের অংশে বাংলায় একবার, পেছনের অংশে একবার বাংলায় ও একবার ইংরেজিতে। এছাড়া সামনের অংশে টাকার অংক উল্লেখসহ লেখা থাকে ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’।

৫ টাকার নোটে কার স্বাক্ষর থাকে?


দেশে প্রচলিত মোট ব্যাংক নোট ১০ টি। এরমধ্যে -১, ২, ৫ টাকা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের সরকারি নোট। তাই, সরকারি নোটে স্বাক্ষর থাকে অর্থ সচিবের। বাকি ৭টি- ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ টাকা হলো ব্যাংক নোট। আর ব্যাংক নোটে স্বাক্ষর থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের।

১৫ নভেম্বর ২০১৫ বাংলাদেশ কয়েনেজ (সংশোধন) আইন অনুযায়ী ১,২,ও ৫ টাকার কাগুজে ও ধাতব মুদ্রা এখন সরকারি মুদ্রা। আর সরকারি মুদ্রাগুলোতে স্বাক্ষর থাকে অর্থসচিবের। তবে ১০ - ১০০০ টাকার নোট হলো ব্যাংক নোট। যেগুলোতে স্বাক্ষর থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url