সেবার প্রকারভেদ | Types of Service

বর্তমানে একদিকে যেমন পণ্য ভোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে তেমনি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেও বিষয়টি পিছিয়ে নেই। সেবা পণ্যের সাথে যুক্ত থাকতেও পারে আবার নাও পারে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত থাকতে পারে; আবার অব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেও গঠিত হতে পারে। উভয় সেবার শ্রেণিবিভাগ সংক্ষেপে নিম্নে দেওয়া হলো:

সেবাদানকারী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান


বর্তমানে এদেশে প্রচুর পরিমাণে সেবাদানকারী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম হিসেবে ভোক্তাদের নানান ধরনের সেবা দান করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-

১. ক্যাটারিং ও বিনোদন সেবা: রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেটারিয়া, ফাস্ট ফুড, সার্কাস, নাট্যমঞ্চ, নাচ, বিনোদন পার্ক ইত্যাদি।

২. হোটেল, মোটেল, বোর্ডিং ও লজিং: ট্যুরিজম বিকাশের ফলে হোটেল, মোটেল, বোর্ডিং, লজিং ইত্যাদি সেবা।

৩. ব্যক্তিগত যত্ন সেবা: ব্যক্তির স্বাস্থ্যগত ও মানসিক ব্যক্তিত্ব বিকাশের লক্ষ্যে বিউটি পার্লার, সেলুন, ড্রাই ক্লিনিং, লন্ড্রি, পেইন্টার, প্লাম্বার, ইনটেরিয়র ডেকোরেটর, ডেন্টিস্ট, প্লাস্টিক সার্জন ইত্যাদি।


৪. চিকিৎসা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা: হাসপাতাল, ডেন্টাল, নার্সিং ইত্যাদি সব ধরনের চিকিৎসা সেবা। ৫. ব্যবসায় ও অন্যান্য পেশাদারী সেবা: আইন পেশা, সনদ প্রাপ্ত হিসাবরক্ষক, ব্যবস্থাপনা পরামর্শক, বিপণন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শ্রম শক্তি নির্বাচন ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

৬. আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান: ব্যাংক, বিমা, বিভিন্ন প্রকার ঋণদানকারী সংস্থা ইত্যাদি।

৭. পরিবহন: বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিআরটিসি, বেসরকারি পরিবহন সংস্থা, লঞ্চ, ইস্টিমার, আকাশ পথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক পরিবহন সংস্থা ইত্যাদি।

৮. টেলিযোগাযোগ খাতে সেবা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি মোবাইল অপারেট কোম্পানি, বিভিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

৯. মধ্যস্থ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান: ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট, ইনডেন্টিং ফার্ম, আউট সোর্সিং ইত্যাদি।

সেবাদানকারী অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান


সেবাদানকারী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সেবাদানকারী অনেক অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও আছে। এগুলো হলো-

১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা গবেষণা ইনিস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট ইত্যাদি।

২. সাংস্কৃতিক ও বিনোদন সেবা: যাদুঘর, চিড়িয়াখানা, বাদক দল, অপেরা, নাট্যদল ইত্যাদি।

৩. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ইত্যাদি।

৪. দাতব্য ও মানব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান: রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সন্ধানী, আধুনিক, আনজুমানে মফিদুল ইসলাম ইত্যাদি।

৫. সামাজিক প্রতিষ্ঠান: পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সাথে জড়িত সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, ধূমপান বর্জনে নিয়োজিত সংগঠন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, যৌতুক বিরোধী আন্দোলন, নারী ও শিশু অধিকার সংস্থা, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ইত্যাদি।

৬. পেশাগত সংস্থাঃ শ্রমিক ইউনিয়ন, অফিসার্স কল্যাণ সমিতি, কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ), আইনজীবী সমিতি ইত্যাদি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url