এইচ.এস.সি অর্থনীতি ২য় অধ্যায় বাংলাদেশের কৃষি সাজেশন

১. কৃষি কাঠামো কী?
উত্তর: কৃষিপণ্য উৎপাদনের পদ্ধতি ও উদ্দেশ্য, কৃষিকাজের সাথে জড়িত মানুষের আর্থ - সামাজিক অবস্থা ইত্যাদির সমন্বিত রূপকে কৃষি কাঠামো বলে।

২. কৃষিজোত কাকে বলে?
উত্তর: কৃষক যে আয়তনের জমির উপর কৃষিকাজ পরিচালনা করে, তাকে কৃষিজোত বলে।

৩. কৃষি কী?
উত্তর: ফসল, বনায়ন, পশুপাখি, মাছ চাষ করতে মাটির জৈবিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাকে কৃষি বলা হয়।

৪. কৃষির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর: কৃষির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Agriculture. 

৫. ছদ্মবেশি বেকারত্ব কী?
উত্তর: একজন কৃষক যখন কোনো উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছে, কি তার কোনো প্রান্তিক উৎপাদন ক্ষমতা থাকে না, তাকে ছদ্মবেশি বেকারত্ব বলে।

৬. কৃষির উপখাত কয়টি ও কি কি?
উত্তর: বাংলাদেশে কৃষির উপখাত ৪টি। যথা- শস্য ও শাকসবজি, পশু সম্পদ, বনজ সম্পদ ও মৎস্য সম্পদ।

৭. GDP- তে কৃষির কোন উপখাতের অবদান বেশি?
উত্তর: শস্য ও শাকসবজি উপখাতের অবদান বেশি।

৮. জীবন নির্বাহী খামার কী?
উত্তর: যে খামারে পারিবারিক শ্রম ব্যবহার করে পরিবারের ভরণ - পোষণের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করা হয়, তাকে জীবননির্বাহী খামার বলা হয়।

৯. বাণিজ্যিক খামার কাকে বলে?
উত্তর: যে খামারের আয়তন বড় হয়ে থাকে, বহু শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় উদ্বৃত্ত সৃষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা যায় সেই খামারকে বাণিজ্যিক খামার বলে।

১০. কৃষি খামার কী?
উত্তর: একজন কৃষক ফসল ফলানোর জন্য যে জমি ব্যবহার করে থাকে তাকে কৃষি খামার বলে।

১১. বাংলাদেশের অধিকাংশ খামারের প্রকৃতি কী?
উত্তর: বাংলাদেশের অধিকাংশ খামার জীবননিবাহী প্রকৃতির।

১২. উৎপাদন উদ্দেশ্যকে বিবেচনা করে কৃষি খামারকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: উৎপাদন উদ্দেশ্যকে বিবেচনা করে কৃষি খামারকে ২ভাগে ভাগ করা যায়।

১৩. বহুমুখী খামার কী?
উত্তর: যদি কোনো কৃষি খামার একাধিক ফসল উৎপাদনে নিয়োজিত থাকে, তাকে বহুমুখী খামার বলা হয়।

১৪. উদ্বৃত্ত থামার কী?
উত্তর: যে সমস্ত খামারের আয়তন ৭.৫ একরের উপরে তাদেরকে উদ্বৃত্ত খামার বলে।

১৫. কৃষিপণ্য বিপণন কী?
উত্তর: কৃষিপণ্যের বিপণন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উৎপাদিত কৃষিপণ্য উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে চূড়ান্ত ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হয়।

১৬. কৃষিপণ্য কাকে বলে?
উত্তর: যেসব পণ্যসামগ্রী ভূমি, নদ - নদী, খামার ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন হয় তাকে কৃষিপণ্য বলে।

১৭. কৃষিপণ্যের রাষ্ট্রীয় বিপণন কী?
উত্তর: সরকার কর্তৃক দেশের অভ্যন্তরে কিংবা বিদেশের বাজারে কৃষিপণ্যের সরাসরি ক্রয় - বিক্রয়কে কৃষিপণ্যের রাষ্ট্রীয় বিপণন বলে।

১৮. মাশরুমে আঁশের পরিমাণ জাত ভেদে কত শতাংশ?
উত্তর: মাশরুমে আঁশের পরিমাণ বেশি, জাত ভেদে ১২-৩২ শতাংশ।

১৯. মাশরুম কী?
উত্তর: মাশরুম হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাক (Fungi) | খাওয়ার উপযোগী এ ছত্রাকের সাদা, ডিম্বাকার, শরীরের অংশকে মাশরুম বলে।

২০. কৃষিঋণ কী?
উত্তর: কৃষিকাজ পরিচালনার জন্য কৃষকরা যে ঋণ গ্রহণ করে তাকে কৃষিঋণ বলা হয়।

২১. কৃষি ঋণের অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস কী কী?
উত্তর: কৃষি ঋণের অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসসমূহ হচ্ছে-
১. আত্মীয় - স্বজন ও বন্ধু বান্ধব 
২. গ্রাম্য মহাজন 
৩. গ্রাম্য ব্যবসায়ী ও দোকানদার 
8. ফড়িয়া ও বেপারি 
৫. গ্রামের বিত্তশালী ব্যক্তি প্রভৃতি।

২২. আনুষ্ঠানিক কৃষি ঋণের উৎস কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রচলিত আইন - কানুন ও শর্তাবলির অধীনে ঝঋণ দান কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদেরকে কৃষি ঋণের আনুষ্ঠানিক উৎস বলে।

২৩. কৃষিনীতি কী?
উত্তর: কৃষির বহুমুখী সমস্যার সমাধান তথ্য কৃষি উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রণীত নীতিমালাকে কৃষিনীতি বলে।

২৪. শস্য বহুমুখীকরণ কী?
উত্তর: একই জমি বা কৃষিজোতে বিভিন্ন মৌসুমে এক ফসলের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে শস্য বহুমুখীকরণ বলে।

২৫. সেচ কী?
উত্তর: উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জমিতে কৃত্রিম উপায়ে পানি সরবরাহ করাকে সেচ বলা হয়।

২৬. বীজ কী? 
উত্তর: সাধারণ অর্থে উদ্ভিদ জন্মানোর জন্য উদ্ভিদের যে অংশ ব্যবহার করা হয় তাকে বীজ বলে।

২৭. উন্নত বীজ কী?
উত্তর: উন্নত বীজ বলতে মানসম্মত বীজকে বোঝায়, যা দ্বারা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

২৮. বৈশ্বিক উষ্ণতা কী?
উত্তর: কার্বন ডাই - অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি গ্যাসসমূহের নির্গমনের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বলে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:

১. কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি কেন?
উত্তর : কাঁচামালের সহজলভ্যতার কথা বিবেচনা করে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন শিল্পের প্রসার জরুরি। শিল্পের জন্য সাধারণত যেসব কাঁচামাল প্রয়োজন হয় তা বাংলাদেশে অনুপস্থিত বা অপ্রতুল। ঐসব কাঁচামাল আমদানির জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। এছাড়া কাঁচামাল আমদানির ফলে শিল্পপণ্যের উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশে প্রচুর কৃষিজাত পণ্য উৎপন্ন হওয়ায় অনেক শিল্পের কাঁচামাল অভ্যন্তরীণভাবেই যোগান দেয়া সম্ভব হয়। এতে করে একদিকে যেমন কৃষকেরা উপকৃত হয়, অন্যদিকে শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনের খরচও হ্রাস পায়।

২ . কৃষিকাজে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কৃষিতে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ বলতে পুরাতন l, অনুন্নত ও ত্রুটিপূর্ণ চাষাবাদ ব্যবস্থাকে বোঝায়। চাষাবাদের এ ব্যবস্থায় একজোড়া লাঙল ও জোয়াল হলো কৃষিকাজের প্রধান অবলম্বন। এ চাষ পদ্ধতিতে গুরুর গোবর সার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং কৃষিকাজ প্রধানত বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এ চাষাবাদ ব্যবস্থায় কৃষি হয়ে পড়ে অত্যন্ত নিম্ন উৎপাদনশীল।

৩ . কৃষির উপখাতগুলো কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের কৃষিখাত চারটি উপখাতে বিভক্ত। যথা: 
১. শস্য ও শাকসবজি খাত; 
২. পশু সম্পদ; 
৩. বনজ সম্পদ এবং 
৪. মৎস্য সম্পদ। 
বিভিন্ন প্রকার শস্য ও শাকসবজি নিয়ে কৃষির শস্য ও শাকসবজি উপখাতটি গঠিত। এটি কৃষির বৃহত্তম উপখাত। গৃহে ও খামারে পালিত নানা রকম পশু পাখি নিয়েই বাংলাদেশ পশু সম্পদ উপখাতটি গঠিত। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, হাঁস - মুরগি প্রভৃতি এই উপখাতের অন্তর্ভুক্ত। বাঁশ, কাঠ, বেত, মোম, মধু, রাবার, শণ ইত্যাদি নিয়ে বনজ সম্পদ উপখাত এবং নদ - নদী, খাল বিল, সামুদ্রিক মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য নিয়ে মৎস্য সম্পদ উপখাত গঠিত।

৪. আবহাওয়ার ওপর শাকসবজি উৎপাদন কীভাবে নির্ভর করে?
উত্তর: শাকসবজি হলো কৃষির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপখাত। এ উপখাতটির উৎপাদন আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর একটি দেশ। এদেশের কৃষির একটি মৌলিক সমস্যা হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর নির্ভরশীলতা। আমদের দেশের সেচব্যবস্থা অনুন্নত বিধায় মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর খুব বেশি নির্ভর করতে হয় । তাই যে বছর প্রাকৃতিক আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে থাকে সে বছর ফলন ভালো হয়। প্রতিকূল প্রাকৃতিক অবস্থার বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। সে হিসেবে কৃষির বৃহৎ উপখাত শাকসবজির উৎপাদনেও আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে শাকসবজির উৎপাদন বেশি হয়। আর যদি বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা প্রভৃতি দেখা দেয় তবে উৎপাদন ব্যাহত হয়।

৫. কৃষি খামার ও কৃষিজোত কি এক ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কৃষিজোত ও কৃষি খামার ধারণা দুটির অর্থ খুব কাছাকাছি হলেও এ দুটি এক নয়, উভয়ের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। যে ভূমিতে কৃষিকাজ করা হয় তাকে কৃষি খামার বলে। অন্যদিকে, কৃষক যে আয়তনের জমির ওপর কৃষিকাজ পরিচালনা করে তাকে কৃষিজোেত বলে। কৃষিকাজের জন্য কৃষকের অধীনে একটি অখণ্ড কৃষি জমিই হলো কৃষিজোত। এগুলো মাঠের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে - ছিটিয়ে থাকতে পারে। পক্ষান্তরে, একাধিক কৃষিজোত নিয়ে কৃষি খামার হতে পারে। তাই বলা যায়, কৃষি খামার ও কৃষিজোত এক নয়।

৬. চিংড়িকে 'সাদা সোনা' বলা হয় কেন?
উত্তর: বর্তমান সময়ে চিংড়ি বাংলাদেশের রপ্তানি তালিকায় উচ্চ স্থান দখল করে নিয়ে বিপুল অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে বিধায় একে 'সাদা সোনা' বলা হয়। সমুদ্রোপকূলবর্তী জেলাগুলোর নিম্নভূমিতে বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। অনেকের কাছেই আত্মকর্মসংস্থান, অর্থোপার্জন ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাধারণত অভ্যন্তরীণ বাজারে চিংড়ি খাদ্যপণ্য হিসেবে কেনা - বেচা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে হিমায়িত খাদ্যসামগ্রী হিসেবে রপ্তানি করা হয়। তাই চিংড়িকে 'সাদা সোনা' বলা হয়।

৭. মধ্যস্বত্বভোগীদের অসাধুতার কারণেই কৃষকগণ ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় দালাল, ফড়িয়া, বেপারি, মজুতদার, আড়তদার ইত্যাদি মধ্যবর্তী ব্যবসায়ী শ্রেণিকে মধ্যস্বত্বভোগী বলা হয়। এ সকল ব্যবসায়ীরা তৃণমূল কৃষকদের কাছ থেকে নাম মাত্র মূল্যে কৃষিপণ্য ক্রয় করে বাজারে উচ্চ মূল্যে চূড়ান্ত ভোক্তাদের নিকট বিক্রি করে। ফলে কৃষিপণোর মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কৃষক সম্প্রদায় ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। এতে ভোজা ও উৎপাদক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৮. কৃষকের দরিদ্রতাই কৃষিজাত পণ্য বিপণনের অন্যতম সমস্যা –ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বাংলদেশে কৃষিপণ্য বিপণন ব্যবস্থা নানা ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত এবং এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে কৃষকের দারিদ্রতা। বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক খুবই দরিদ্র। তারা অর্থের অভাবে ফসল কাটার সাথে সাথে কম মূল্যেই তা বিক্রয় করে থাকে। কৃষিপণ্যের প্রাথমিক বাজারে পণ্য বিক্রেতা কৃষকের সংখ্যা অগণিত। অন্যদিকে ক্রেতা হিসেবে আছে অল্পসংখ্যক ফড়িয়া, দালাল, আড়তদার প্রভৃতি মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী। সূতরাং কৃষকের দরিদ্রতাকে কৃষিজাত পণ্য বিপণনের অন্যতম সমস্য বলা যায়।

৯. মাশরুম কি ঔষধি সবজি? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুম্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন সবজি মাশরুম হলো এক প্রকার ভক্ষণযোগ্য মৃতজীবী ছত্রাকের ফলন্ত অল। এটি প্রচুর ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। যা শিশুদের হাড় ও দাঁত গঠনে বিশেষ কার্যকর। আবার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য মাশরুম অত্যাবশ্যক। মাশরুমে ইরিটাডেনিন নামক এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা রন্ধ্রের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এজন্য এটি হৃদরোগীদের জন্য আদর্শ খাবার। এ ছাড়াও মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকার কারণে এটি বিশ্বে এইডস প্রতিরোধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

১০. কৃষকরা কেন ঋণ গ্রহণ করে?
উত্তর: কৃষকরা কৃষিকাজের বিভিন্ন প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কৃষিকাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ক্রয়; কৃষিকাজ পরিচালনা; প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা; গবাদিপশুর মড়কে নতুন করে পশু ক্রয় , পৈতৃক ঋণ পরিশোধ উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ; গুদামঘর নির্মাণ ইত্যাদি কারণে কৃষক বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে।

১১. কৃষি ঋণের উৎসগুলো কী কী?
উত্তর: কৃষি ঋণের উৎসগুলোকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: 
১. অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস এবং 
২. প্রাতিষ্ঠানিক উৎস। 

কৃষি ঋণের অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসগুলো হলো —
১ . নিকট আত্মীয় - স্বজন ও বন্ধু - বান্ধব; 
২. গ্রাম্য মহাজন; 
৩. গ্রাম্য ব্যবসায়ী ও দোকানদার; 
৪. ফড়িয়া ও বেপারি; 
৫ . গ্রাম্য সম্পদশালী ব্যক্তি। 

আর প্রাতিষ্ঠানিক উৎসগুলো হলো— 
১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক; 
২. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক; 
৩. বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক; 
৪ . বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড; 
৫. ভূমি বন্ধকি ব্যাংক; 
৬. গ্রামীণ ব্যাংক; 
৭. বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ড।

১২. কৃষকরা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ কম পায় কেন?
উত্তর: কৃষকের অশিক্ষা ও অজ্ঞতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক উৎসের আনুষ্ঠানিকতা বা জটিলতার কারণে কৃষকরা প্রাতিষ্ঠানিক ঋঋণ কম পেয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কৃষিঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জটিল, সময়সাপেক্ষ ও হয়রানিমূলক। প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের উৎসগুলো প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প; সেগুলো শহরভিত্তিক হওয়ায় কৃষকরা সেখানে যেতে চায় না। দরিদ্র কৃষকরা যেহেতু জামানত দিতে পারে না, তাই প্রাতিষ্ঠানিক উৎস থেকে ঋণও পায় না। এসব কারণে আমাদের দরিদ্র কৃষকরা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ কম পায়।

১৩. দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ঋণকে, কৃষি উন্নয়নের ভিত্তি বলা হয় কেন?- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ঋণকে কৃষি উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কৃষি জমির স্থায়ী উন্নয়ন, নলকূপ বসানো, ট্রাক্টর ক্রয়, ভারি যন্ত্রপাতি ক্রয়, পুরোনো ঋণ পরিশোধে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের প্রয়োজন হয়। কৃষি জমির উৎপাদন বাড়াতে চাইলে প্রথমে কৃষি জমির স্থায়ী উন্নয়ন আবশ্যক। কারণ, কৃষি জমি যদি উন্নত চাষাবাদের উপযোগী না হয় অর্থাৎ কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু হয় তবে ফসল উৎপাদন কখনো কাঙ্ক্ষিত হবে না এক্ষেত্রে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষককে দীর্ঘমেয়াদি বা বৃহৎ উৎস হতে ঋণ সংগ্রহ করতে হয়। স্বল্পমেয়াদি বা মধ্যমমেয়াদি ঋণ দ্বারা উল্লিখিত সমস্যার সমাধান কষ্টসাধ্য। তাই দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ঋণকে কৃষি উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৪. শস্য বহুমুখীকরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: একই জমি বা কৃষিজোতে বিভিন্ন মৌসুমে এক ফসলের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে শস্য বহুমুখীকরণ বলে। একই জমিতে বার বার একই ফসল না চাষ করে ভিন্ন ভিন্ন শস্য উৎপাদন করলে জমির উর্বরতা এবং ফসল উৎপাদন দুটিই বৃদ্ধি পায়। এরপ চাষাবাদ করাই হলো শস্য বহুমুখীকরণ। শস্য বহুমুখীকরণের মধ্য দিয়ে বিগত দুই দশক যাবৎ বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব।

১৫. একই জমিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কি কল্যাণকর?
উত্তর: একই জমিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শস্য চাষ করলে একটি দেশের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্যের চাহিদা পূরণ হয়। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, সবজি ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে উৎপাদন করলে সামগ্রিকভাবে খাদ্যোৎপাদন বাড়ে। বিভিন্ন শস্য চাষের ফলে সারাবছর ধরে কৃষিকাজ চলে বলে গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়ে। কোনো কারণে একটি শস্যের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্য শস্য দ্বারা তা অনেকটাই পূরণ করে নেওয়া যায় বলে কৃষিতে ঝুঁকির মাত্রা কমে। সুতরাং বলা যায়, একই জমিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা কল্যাণকর।

১৬. “শস্য বহুমুখীকরণের ফলে ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব কিভাবে?’ – ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে একই জমিতে বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব বাংলাদেশের বেশির ভাগ কৃষক এখনও তাদের জমিতে বছরের পর বছর একই শস্যের চাষ করে। দেখা যায়, দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে প্রায় সারাবছর শুধ ধানের চাষ হয়। ফলে কোনো কারণে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে কৃষকরা প্রচুর লোকসানের সম্মুখীন হয়। কিন্তু শস্য বহুমুখীকরণ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে কোনো কারণে একটি ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্য ফসল দিয়ে তা কমবেশি পূরণ করা যায়। এতে করে কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকির মাত্রাও কমে আসে।

১৭. হিমাগার নির্মাণ করা হয় কেন?
উত্তর: কৃষিপণ্য সহজেই এবং অল্প সময়ের ব্যবধানে পচে যাওয়ায় হিমাগার নির্মাণ করা হয়। হিমাগার নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য হলো পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করে প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করা। বর্তমানে সরকার মোটামুটি প্রতিটি জেলায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হিমাগার নির্মাণের চেষ্টা করছে।

১৮. শস্য বহুমুখীকরণ কি খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে?
উত্তর: শস্য বহুমুখীকরণ হলে বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদিত হয় এবং এসব শস্য দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে। জমিতে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের শস্য ফলানো গেলে কদের খাদ্য তালিকায় বিভিন্নতা আসে। এতে করে সে তার প্রাপ্ত বিভিন্ন শস্যের মাধ্যমে খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্যের সমাহার ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে যেখানে সাধারণ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে প্রায়ই সক্ষম হয় না; সেখানে শস্য বহুমুখীকরণের গুরুত্ব অনেক বেশি বহুমুখীকরণ করা হলে কৃষি উৎপাদন তথা খাদ্যের সামগ্রিক যোগান বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশ দ্রুত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাবে। শস্য পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতির সাথে অভিযোজনের উপায়। 
শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে একই জমিতে বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব বাংলাদেশের বেশির ভাগ কৃষক এখনও তাদের জমিতে বছরের পর বছর একই শস্যের চাষ করে। দেখা যায়, দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে প্রায় সারাবছর শুধ ধানের চাষ হয়। ফলে কোনো কারণে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে কৃষকরা প্রচুর লোকসানের সম্মুখীন হয়। কিন্তু শস্য বহুমুখীকরণ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে কোনো কারণে একটি ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্য ফসল দিয়ে তা কমবেশি পূরণ করা যায়। এতে করে কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকির মাত্রাও কমে আসে। এভাবেই খাদ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।

১৯. কৃষি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কৃষি প্রজনন সম্বন্ধীয় কাজ হওয়ায় তা প্রকৃতির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থার অভাবে আমাদের দেশের কৃষকরা চাষাবাদের জন্য বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে থাকে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে যদি সময়মতো বৃষ্টিপাত হয় তাহলে ভালো ফসল হয়, কিন্তু যদি সময়মতো বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে ভালো ফসল হয় না। ফলে দেখা যায় , বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থা এখনো অনেকটাই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।

২০. কৃষি পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল কেন?– ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কৃষিকাজ প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর অধিকমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে থাকে। ভূ - প্রকৃতি, মাটি, পানি, গাছপালা, নদ - নদী, জলবায়ু, আবহাওয়া, আলো, বাতাস, পরিবেশ গঠিত নদী, পশুপাখি, জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি নিয়েই প্রাকৃতিক হয়। বাংলাদেশের কৃষি এখনও পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। মাটির উর্বরতার ওপর কৃষি উৎপাদন অনেকাংশে নির্ভর করে। পর্যাপ্ত আধুনিক সেচ ব্যবস্থায় অভাবে আমাদের দেশের কৃষকরা চাষাবাদের জন্য বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে থাকে। তাই বলা যায় , কৃষিব্যবস্যা পরিবেশ বিশেষত প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
১. শস্য বহুমুখীকরণ এর প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশের আবাদি জমির প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে ধান চাষ করা হয়। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়। আবার একই জমিতে একই ধরনের চাষ বারবার করলে জমি উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। বিভিন্ন সবজি শস্য পর্যায়ক্রমে চাষ করলে জমির উর্বরতাও ঠিক থাকে । ফলে কৃষক শস্য বহুমুখীকরণের দরুন অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে উপকৃত হতে পারে।

২. বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: ১৯৩০ - এর দশকে ব্রিটিশ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জে.পি. হেক্টর ধানের জাতের একটি ক্যাটালগ তৈরি করেন। তার মতে, সে সময় এ উপমহাদেশে প্রায় ২০ হাজার জাতের ধানের চাষ হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮২ সালে BRRI এদেশের ১২ হাজার ৪৮৭ টি ধানের জাতের তালিকা তৈরি করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫০-৫১ অর্থবছরে চালের মোট উৎপাদন ছিল ৬২ লাখ টন। গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) দেশে চাল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৬২.৭৯ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত আবাদি জমির পরিমাণ না বাড়লেও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও চাষাবাদে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চাল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৪১৫.৭৪ লক্ষ মেট্রিক টন।

৩. কৃষি উৎপাদনের প্রধান লক্ষ্য কী?
উত্তর: বাংলাদেশের কৃষকরা মূলত পরিবারের ভরণপোষণের জন্য উৎপাদন করে। এ কারণে সাধারণত তারা পরিবারের জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই যতটা সম্ভব উৎপাদন করে। তবে সাম্প্রতিককালে এদেশে কোনো কোনো কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। বহু তরুণ ও যুবক আত্মকর্মসংস্থানের উপায় হিসেবে বিভিন্ন ধরনের খামার করায় এ খাতের আকার এখন বেশ বড়।

৪. বাংলাদেশের কৃষি সমস্যা বর্ণনা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা খুব উন্নত নয় ফলে কৃষক তাদের উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী তথা ফসল বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশে কৃষিজাত পণ্য বিপণনের সমস্যা বা ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির সমস্যাসমূহ হলো কৃষকের দারিদ্র্য, অনুন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, অপ্রতুল বাজার সুবিধা, গুদামজাতকরণ ও সংরক্ষণের অসুবিধা, ত্রুটিপূর্ণ ওজন ও পরিমাপ, বিপণন ঋণের অভাব, বাজার তথ্যের অভাব, দামের উত্থান পতন, সরকারি নীতির অভাব, প্রতিযোগিতার অভাব, শ্রেণিবিন্যাস ও নমুনাকরণের অভাব ইত্যাদি।

৫. কৃষি খামার ও কৃষি জোতের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তর: একজন কৃষকের অধীনে যে পরিমাণ জমি থাকে এবং সে জমির বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী যখন কৃষক নিজেই থাকবে, তখন তাকে কৃষি খামার বলা হয়। অন্যদিকে, একজন কৃষক যে আয়তনের জমির ওপর কৃষিকাজ পরিচালনা করে তাকে কৃষি জোত বলে। কৃষি খামার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত জমিগুলো নিয়ে গঠিত হতে পারে। কিন্তু কৃষি জোত একই সাথে যুক্ত জমির ক্ষেত্রেই কেবল প্রযোজ্য। বাংলাদেশের কৃষি খামারগুলো অধিকাংশই জীবনধারণ উপযোগী খামার আর কৃষি জোতগুলো হলো ক্ষুদ্রায়তন।

৬. বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর: বাংলাদেশের উৎপাদনের প্রধান খাত হলো কৃষি। নদীমাতৃক ও পলি গঠিত সমভূমি এদেশের মানুষের স্বাভাবিক ও সহজ পেশা কৃষি। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বলা হয়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url